খুলনার দিঘলিয়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির যৌথ উদ্যোগে দুর্নীতি বিরোধী সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনা সজেকার সহকারী পরিচালক মোঃ রকিবুল ইসলাম। বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা একাডেমি সুপারভাইজার মাকসুদা খানম, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মিসেস নিসা, উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকর্তা সাঈদা খাতুন এবং এস এম মোস্তফা রশীদী সুজা গার্লস কলেজের প্রভাষক সাবিহা সুলতানা।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় সেনহাটী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং রানার্সআপ হয় হাজী ছায়েম উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। শ্রেষ্ঠ বক্তার পুরস্কার অর্জন করে সেনহাটী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের মুসারাতুন নাহার মৌমি। রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় সেনহাটী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী সানিয়া ইসলাম, দ্বিতীয় ঐশী আক্তার এবং তৃতীয় হন ফাতেমা মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জান্নাতুল ফেরদাউস আজিজ।
অনুষ্ঠানে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি মো. সাইফুদ্দিন লস্কর, সদস্য শেখ আব্দুল্লাহ, মোল্যা জাহিদুল ইসলাম, নাসরিন সুলতানা, শিল্পী নন্দীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সেনহাটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান মল্লিক।
অন্যদিকে, পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে (জিয়ানগর) স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ও সাবেক ছাত্রদল নেতা শাকিল মাহমুদ পলাশের ছবি এডিট করে ফেসবুকে পোস্ট ও গুজব ছড়ানোর ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। রবিবার (৩১ আগস্ট) ইন্দুরকানী থানায় লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ওসি মোঃ মারুফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শাকিল মাহমুদ পলাশ দীর্ঘদিন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি ইন্দুরকানী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং বর্তমানে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। সম্প্রতি একাধিক কর্মীসভায় ব্যাপক সাড়া ফেলায় প্রতিপক্ষ মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। এর অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি এ কে এম এ আউয়ালের সঙ্গে তোলা এক ছাত্রলীগ কর্মীর ছবিতে তার মুখ এডিট করে ফেসবুকে ছড়ানো হয়।
এ প্রসঙ্গে শাকিল মাহমুদ পলাশ বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। সম্পূর্ণ ভুয়া ছবি ব্যবহার করে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা হচ্ছে। আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সত্য প্রকাশ পাবে।”
এ বিষয়ে ওসি মারুফ হোসেন জানান, তদন্ত শেষে আসল ঘটনা উদঘাটন হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।