আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ঘোষণা করেছে যে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬-এর বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হবে নেপালে। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি। ২০২৫ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাঠমান্ডুর লোয়ার মূলপানি ও আপার মূলপানি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো আয়োজন করা হবে।
এখনও বাছাইপর্বের নির্দিষ্ট সূচি ঘোষণা না করা হলেও আইসিসি জানিয়েছে, বাছাইপর্বে মোট ১০টি দল অংশ নেবে। এখান থেকে চারটি দল বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাবে।
ইতোমধ্যে পাঁচটি দেশ বাছাইপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ২০২৪ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করায় বাংলাদেশ এবং স্কটল্যান্ড সরাসরি এই বাছাইপর্বে জায়গা করে নিয়েছে। এছাড়া থাইল্যান্ড ও নেপাল এশিয়া অঞ্চল থেকে এবং যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকা অঞ্চল থেকে বাছাইপর্ব নিশ্চিত করেছে।
অবশিষ্ট পাঁচটি দল আসবে তিনটি অঞ্চল থেকে:
আফ্রিকা অঞ্চল – ২টি দল
ইউরোপ অঞ্চল – ২টি দল
পূর্ব এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল – ১টি দল
এই দশটি দল দুইটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে, যেখানে প্রতিটি গ্রুপে থাকবে পাঁচটি করে দল। প্রথম পর্বের শেষে সেরা ছয় দল উঠবে সুপার সিক্সে, এবং সেখানে থেকে সেরা দুই দল মুখোমুখি হবে ফাইনালে। তবে বিশ্বকাপ মূল পর্বে খেলবে মোট চারটি দলই।
২০২৬ সালের ১২ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে অনুষ্ঠিত হবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬। টুর্নামেন্টে মোট ১২টি দল অংশ নেবে, যার মধ্যে আটটি দল ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়েছে এবং চারটি আসবে বাছাইপর্ব থেকে।
আইসিসির ঘোষণা অনুযায়ী গ্রুপগুলোর বিন্যাস এভাবে হয়েছে:
গ্রুপ ১:
অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, পাকিস্তান, বাছাইপর্বের দল ১, বাছাইপর্বের দল ২
গ্রুপ ২:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, বাছাইপর্বের দল ৩, বাছাইপর্বের দল ৪
এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে ক্রিকেট বিশ্বে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে। বাংলাদেশ নারী দলের সম্ভাবনা নিয়েও আশাবাদী দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।