পিরোজপুরের নেছারাবাদে স্কুল শিক্ষকের দায়েরকৃত চাঁদাবাজি মামলায় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক মো. ইমরান খন্দকারসহ তিনজনকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছে। রবিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। অপর দুই আসামি হলেন শেখ রাহাত হোসেন (রাসেল) ও ইকরাম খন্দকার।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৮ জুন কুহুদাসকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. গোলাম কিবরিয়া চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, জমি দখল ও চাঁদাবাজিতে জড়িত। শেখ রাহাত হোসেন (রাসেল) বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সমুদয়কাঠি এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।
বাদী গোলাম কিবরিয়ার শেহাংগল টেম্পু স্ট্যান্ডে দুটি দোকান রয়েছে, যা থেকে আসামিরা তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিয়মিত চাঁদা আদায় করত। গত ১৮ এপ্রিল রাতে তারা ওই শিক্ষককে পথরোধ করে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা তার জমির গাছ কেটে জমি দখলের চেষ্টা করে। এমনকি জুমার নামাজে যাওয়ার পথে তাকে আটকে এতিমখানার ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করে রাস্তায় ফেলে রাখে।
পিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদ হাসান শাহীন জানান, বিষয়টি ব্যক্তিগত বিরোধের কারণে হয়েছে এবং এতে সংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. আবুল কালাম আকন বলেন, আদালত চার আসামির মধ্যে তিনজনের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।