
জনগণ যদি দৃঢ়ভাবে নির্বাচনমুখী হয়, তবে কোনো শক্তিই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না—এমন মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি পারস্পরিক সহাবস্থান ও প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব বজায় রেখে এগিয়ে আসে, তাহলে সেটি দেশের গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক ও শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করবে।
বৃহস্পতিবার (তারিখ উল্লেখযোগ্য) বিকেলে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রাজদিয়া আব্দুল জব্বার পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন ও নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “আপনারা যদি বস্তুনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল সংবাদ প্রকাশ করেন এবং জনগণকে সঠিক তথ্য দিয়ে সচেতন করেন, তাহলে একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হবে।”
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদীর দ্রুত সুস্থতার জন্য সবাই যেন দোয়া করেন, যাতে তিনি শিগগিরই সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন।
কৃষি খাত নিয়ে কথা বলতে গিয়ে উপদেষ্টা জানান, চলতি মৌসুমে আলু চাষে অনেক কৃষক লোকসানের সম্মুখীন হলেও তারা আবারও নতুন করে আলু রোপণে এগিয়ে এসেছেন। সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং কৃষকদের জন্য প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনায় রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, আলুতে লোকসান হলেও এ বছর ধান উৎপাদনে সন্তোষজনক ফলন হয়েছে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ইতিবাচক।
এর আগে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে বিক্রমপুর কুঞ্জবিহারী সরকারি কলেজ, ইছাপুরা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, কুসুমপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কুসুমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, মুন্সীগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মেনহাজুল আলম, সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুম্পা ঘোষ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌহিদুল ইসলাম বাড়ি, উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ উল্লাহসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।