জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার হাজরাবাড়ী জেনারেল হাসপাতালে পাঁচ মাসের বকেয়া বেতন চাইতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন আশা মনি (২০) নামে এক নারী নার্স। বর্তমানে তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছেন। ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আহত নার্স আশা মনি মেলান্দহ পৌরসভার বাসুদেবপুর এলাকার আসর শেখের মেয়ে। তিনি প্রায় দুই বছর ধরে হাজরাবাড়ী জেনারেল হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত। শুরুতে নিয়মিত বেতন পেলেও গত পাঁচ মাস ধরে বেতন বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুর আনুমানিক ২টার দিকে বকেয়া বেতন চাইতে হাজরাবাড়ী বাজার এলাকায় অবস্থিত হাসপাতাল কার্যালয়ে যান আশা মনি। অভিযোগ অনুযায়ী, সেখানে হাসপাতালের মালিক মো. সবুজ ও মো. রফিক ক্ষিপ্ত হয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালান। তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মারায় গুরুতর আহত হন তিনি।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। আশা মনি জানান, কেবল মারধর নয়, তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। পরে ওই রাতেই মেলান্দহ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
অভিযোগ পাওয়ার পর মেলান্দহ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যায়। তদন্তে নার্সকে মারধরের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে বলে জানান মেলান্দহ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “তদন্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দেখা যায়, হাসপাতালের অধিকাংশ কক্ষে তালা ঝুলছে। অপারেশন থিয়েটার, রিসেপশন ও ব্লাড কালেকশন রুমসহ গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটগুলো বন্ধ অবস্থায়। এমনকি কোনো রোগী বা স্বজনদের উপস্থিতিও ছিল না। হাসপাতালের মালিকপক্ষ ও কর্মচারীরা আত্মগোপনে রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের মতে, একজন নার্সকে এভাবে মারধর করা নিন্দনীয় এবং ভয়াবহ। তারা অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।