
জামালপুরে তরুণী অপহরণ মামলায় চারজন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—মেলান্দহ উপজেলার ভাংগুনী ডাংঙ্গা গ্রামের মজনু মিয়া (২৫), রান্ধনীগাছা গ্রামের মৃত হাতেম আলী খন্দকারের ছেলে হানিফ খন্দকার (৫৯), একই উপজেলার মমিন মিয়া (৪০) এবং জহুরুল ইসলাম (৩৭)।
রায় ঘোষণার পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. ফজলুল হক বলেন, “২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ভিকটিম হাবিবা আক্তার চৈতি স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে ফেরার পথে রশিদপুর বাজারের পশ্চিম পাশে এজাহারভুক্ত আসামিরা তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়।”
এ ঘটনায় ১১ ফেব্রুয়ারি ভিকটিমের বাবা হাবিবুর রহমান জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ধারা ৭ ও ৭/৩০ অনুযায়ী আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে চারজন সাক্ষী উপস্থাপন করা হয়। দীর্ঘ প্রায় চার বছর আইনি লড়াই শেষে আদালত চার আসামিকেই দোষী প্রমাণিত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, জরিমানার টাকা ভিকটিমকে প্রদান করা হবে।
পাবলিক প্রসিকিউটর আরও জানান, রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এই রায় ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।