
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাবর আজমের প্রত্যাবর্তন একেবারেই সুখকর হলো না। প্রায় সাড়ে ১০ মাস পর পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছিলেন এই তারকা ব্যাটার, কিন্তু প্রত্যাবর্তনটা হলো চরম হতাশাজনক। ফরম্যাটটিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করে নিজের ব্যর্থতার বোঝা কাঁধে নিয়ে বড় ব্যবধানে হারের তিক্ত স্বাদ পেল তার দল পাকিস্তান।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাতে রাওয়ালপিন্ডিতে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৫৫ রানের ব্যবধানে হেরেছে পাকিস্তান। ১৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৮.১ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রানে থেমে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন সাইম আইয়ুব। অপরদিকে, ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেওয়া কোরবিন বোশ হয়ে উঠেন পাকিস্তানের ব্যর্থতার নায়ক।
রান তাড়ায় শুরুটা খারাপ ছিল না পাকিস্তানের। ওপেনিং জুটিতে আসে ৩১ রান। কিন্তু সাহিবজাদা ফারহান ২৪ রানে আউট হওয়ার পরই ভেঙে পড়ে ব্যাটিং লাইন। এর কিছুক্ষণ পরই বাবর আজম ফেরেন ২ বল খেলে শূন্য রানে। উল্লেখ্য, রোহিত শর্মাকে পেছনে ফেলে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক হওয়ার সুযোগ ছিল তার সামনে, কিন্তু সেই স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল।
এরপর অধিনায়ক সালমান আলী আঘাও মাত্র ২ রান করে ফিরে গেলে দল আরও বিপদে পড়ে। এরপর সাইম আইয়ুব ও উসমান খান কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও তাতে খুব লাভ হয়নি। ২৮ বলে ৩৭ রানে আউট হন সাইম। শেষদিকে মোহাম্মদ নাওয়াজের ২০ বলে ৩৬ রানের ঝড়ো ইনিংস পাকিস্তানের হার কিছুটা কমালেও তা ম্যাচে ফেরার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
বল হাতে প্রোটিয়া পেসার কোরবিন বোশের পারফরম্যান্স ছিল অনবদ্য—৪ ওভারে ১৪ রানে ৪ উইকেট। জর্জ লিন্ডে নেন ৩ উইকেট, আর লিজাড উইলিয়ামস পান ২ উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯৪ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে। রিজা হেনড্রিকসের ৪০ বলে ৬০ রানের ইনিংস প্রোটিয়াদের শক্ত ভিত গড়ে দেয়। এছাড়া টনি ডে জর্জি করেন ৩৩, জর্জ লিন্ডে ৩৬ ও কুইন্টন ডি কক ২৩ রান।
পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন মোহাম্মদ নাওয়াজ, যিনি ২৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন। সাইম আইয়ুবও ২ উইকেট শিকার করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হারের মুখে পড়ায় পাকিস্তানকে এখন ঘুরে দাঁড়াতে হবে দ্বিতীয় ম্যাচে। আর বাবর আজমের কাছ থেকে প্রত্যাশা থাকবে ব্যাট হাতে আগের মতো ঝলক ফেরানোর।