খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে এবং আরও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। পুলিশ ইতোমধ্যে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে, তবে মামলার মূল আসামি ও গাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সোহাগ মুন্সী এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গাজিরহাট পদ্মবিলা এলাকার বুলু সিকদারের কাছে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এর মধ্যে ৫০ হাজার টাকা ইতোমধ্যে আদায় করা হয়েছে এবং বাকি এক লাখ টাকা না দিলে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় বুলুর স্ত্রী শাহানারা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরই প্রেক্ষিতে ১৬ আগস্ট রাতে মাঝিরগাতী পুলিশ ক্যাম্পের আইসি এসআই আব্দুল্লাহ আল মাসুদের নেতৃত্বে পুলিশের ১২ সদস্যের একটি দল অভিযানে গেলে আসামিরা মব তৈরি করে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে ৪ পুলিশ সদস্য আহত হন এবং আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১৭ আগস্ট এসআই আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মামলা করেন।
দিঘলিয়া থানার ওসি তদন্ত হেলাল জানান, এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।