দেশে আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত সারের কোনো ঘাটতি হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি জানান, মালয়েশিয়ায় সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার বিকল্প দেশ থেকে সার আমদানির উদ্যোগ নিচ্ছে।
সোমবার (২১ আগস্ট) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “বর্তমানে দেশে সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। কৃষকদের যেন কোনো ধরনের দুর্ভোগ না হয়, সে বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।”
তিনি আরও জানান, সারের ডিলারশিপ নিয়ে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি অনিয়ম বা কারসাজিতে যুক্ত থাকে, তাদের লাইসেন্স বাতিল করে নতুন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হবে। ডিলারশিপ নীতিমালায় এমন পরিবর্তন আনা হচ্ছে যাতে কৃষকদের স্বার্থ সর্বোচ্চভাবে সুরক্ষিত থাকে।
আলুর দরপতন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই বছর আলুর ন্যায্য দাম পাননি কৃষকরা। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে জন্য সরকার সারাদেশে ১০০টি কোল্ড স্টোরেজ চালুর পরিকল্পনা করছে।”
সংবাদ সম্মেলনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পে যন্ত্রপাতি ক্রয়ে অনিয়ম প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করছে এবং প্রমাণ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কৃষি খাতের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে সরকারের এসব পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।