1. [email protected] : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. [email protected] : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. [email protected] : RT BD NEWS :
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভাঙচুর - RT BD NEWS
রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভাঙচুর

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: শনিবার, ৩ মে, ২০২৫
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে হামলা: চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে জরুরি বিভাগে ভাঙচুর
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে গুরুতর আহত এক রোগীর চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে জরুরি বিভাগে একদল দুর্বৃত্ত তাণ্ডব চালিয়েছে। শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চলে এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা। এতে হাসপাতালের এক চিকিৎসকসহ ঢাকার আইসিডিডিআরবি থেকে আগত অতিথি চিকিৎসক আহত হয়েছেন বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতাল সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শাহিন নামের এক তরুণ কুড়ালের আঘাতে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর শাহিনকে ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। কিছু সময় পর রোগীর খিচুনি শুরু হলে স্বজনদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

এ সময় সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি সোহেল আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে কয়েকজন বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি জরুরি বিভাগে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর শুরু করে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। হামলার সময় ঢাকার আইসিডিডিআরবি থেকে আগত চিকিৎসক ডা. আক্তার মারুফ হাসপাতালে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাকে স্টাফ ভেবে হামলাকারীরা মারধর করেন।

হামলা ও ভাঙচুরের সময় জরুরি বিভাগে অবস্থানরত অন্যান্য রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই দ্রুত হাসপাতালে থেকে অন্যত্র সরে যান। হামলার ঘটনায় জরুরি বিভাগের কিছু আসবাব ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফয়সাল আহমেদ জানান, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে হামলা চালানো হয়েছে। হামলার সময় একজন অতিথি চিকিৎসকের নাক ভেঙে যায় এবং আরও একজন চিকিৎসক মারাত্মক আহত হন। তিনি বলেন, “আমরা লিখিত অভিযোগ দাখিল করব।”

তবে সোহেল আহমেদ মানিক হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, “আমি তখন অন্য হাসপাতালে ছিলাম। পরে ফিরে এসে হামলাকারীদের থামানোর চেষ্টা করি এবং আহত চিকিৎসক ডা. তানভীর হোসেনকে রক্ষা করতে গিয়ে আমি নিজেই আহত হই।”

তিনি আরও বলেন, “আহত শাহিনকে নিয়ে হাসপাতালে এলে তখন কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওয়ার্ডে পাঠানো হলেও অবস্থার অবনতি হলে উত্তেজনা দেখা দেয়।”

সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মো. শামিনুল হক জানান, “এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এই ধরনের হামলা শুধুমাত্র চিকিৎসা সেবা বিঘ্নিত করে না, বরং সাধারণ রোগীদের জীবনকেও হুমকির মুখে ফেলে দেয়। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট