
বলিউডের বাদশাহ শাহরুখ খানের নতুন সিনেমা ‘কিং’ ঘিরে ইতিমধ্যেই চলচ্চিত্র অঙ্গনে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনার ঝড়। বিশাল বাজেট, আন্তর্জাতিক মানের অ্যাকশন দৃশ্য, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও তারকাবহুল কাস্টিং—সব মিলিয়ে ছবিটিকে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল অ্যাকশন সিনেমা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বলিউড হাঙ্গামার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত ‘কিং’ ছবিটির প্রাথমিক বাজেট ছিল ১৫০ কোটি রুপি। কিন্তু কাহিনি ও অ্যাকশন সিকোয়েন্সের ব্যাপ্তি বাড়তে বাড়তে বর্তমানে সেই বাজেট দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৫০ কোটিতে। এর সঙ্গে এখনো বিপণন ও প্রচারণার খরচ যোগ হয়নি।
প্রথমদিকে ছবিটির পরিকল্পনা করেছিলেন পরিচালক সুজয় ঘোষ, যেখানে শাহরুখ খানের ভূমিকাটি ছিল তুলনামূলক ছোট। পরে সিদ্ধার্থ আনন্দ প্রকল্পটি হাতে নিয়ে শাহরুখের সঙ্গে বসে গল্প ও ভিশন নতুন করে সাজান। তাদের লক্ষ্য ছিল এমন একটি ভারতীয় অ্যাকশন ছবি তৈরি করা, যা আন্তর্জাতিক মানের ভিজ্যুয়াল ও প্রযোজনা মানে আলাদা উচ্চতায় পৌঁছাবে।
‘কিং’-এর গল্প ও নির্মাণে থাকবে ছয়টি বিশাল অ্যাকশন দৃশ্য—এর মধ্যে তিনটি বাস্তব লোকেশনে শুট হবে, আর বাকিগুলো বিশেষভাবে তৈরি সেটে। বিশেষ করে শাহরুখ খানের ইনট্রোডাকশন দৃশ্যের জন্য ব্যয় হচ্ছে বিপুল অর্থ, যা ছবিটির প্রধান আকর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ছবিটির প্রযোজনায় আছেন গৌরী খান ও মমতা আনন্দ, আর শাহরুখ খান নিজেও প্রযোজক হিসেবে যুক্ত হয়েছেন। সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ২০২৬ সালে, যা মুক্তির পর ভারতীয় বক্স অফিসে নতুন ইতিহাস গড়তে পারে বলে আশা করছেন ট্রেড বিশ্লেষকরা।
চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘কিং’ শাহরুখ খানের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ও ব্যয়সাপেক্ষ প্রকল্প, যা বলিউডের অ্যাকশন ধারাকে নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে যাবে।