ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতা হলেন—কালীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক এরশাদ হোসেন সোনা।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ঝিনাইদহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রুহুল আমিন পিকুল ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বুধবার (৮ অক্টোবর) একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কালীগঞ্জ উপজেলার শ্রীরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুব্রত রায়কে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন এরশাদ হোসেন সোনা। ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা উম্মে হানি জানান, “বুধবার স্কুল চলাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে পাওয়ার টিলারে ইট পরিবহন করছিলেন এরশাদ হোসেন। টিলারের বিকট শব্দে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছিল। আমি বিষয়টি বন্ধ করতে অনুরোধ জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হন। পরে সহকারী শিক্ষক সুব্রত রায় এগিয়ে এলে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং একপর্যায়ে তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন।”
সহকারী শিক্ষক সুব্রত রায়কে পরে সহকর্মীরা উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত এরশাদ হোসেন সোনা বলেন, “শিক্ষক পেটানোর অভিযোগ সত্য নয়। শুধু ধাক্কাধাক্কি হয়েছিল। তবে আমাকে সাময়িকভাবে অব্যাহতির বিষয়টি জেনেছি।”
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃত্ব জানায়, “দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে এরশাদ হোসেন সোনাকে পদ থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে স্থায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
স্থানীয়রা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার কঠোর বিচার হওয়া উচিত। ঘটনাটি ইতোমধ্যে এলাকাজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।