
খুলনার দিঘলিয়ায় সংরক্ষিত ইউপি সদস্য সালেহা বেগম (৫৮) আর নেই। অসুস্থ অবস্থায় খুলনা সিটি মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে এক পুত্র, দুই কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
দিঘলিয়া ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য হিসেবে পরপর দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছিলেন সালেহা বেগম। তিনি ছিলেন একজন সামাজিকভাবে সম্মানিত, শান্ত স্বভাবের এবং দায়িত্বশীল জননেত্রী। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে মানুষের কল্যাণে অবদান রেখেছেন তিনি।
তার মৃত্যুতে দিঘলিয়া অঞ্চলের রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। শুক্রবার মাগরিবের পর দিঘলিয়া ঈদগাহ ময়দানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় সাধারণ মানুষ ছাড়াও রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও সামাজিক অঙ্গনের নেতৃবৃন্দের ঢল নেমে আসে। পরে তাকে নগরীর গোয়ালখালি কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন— উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হারুন অর রশিদ, দিঘলিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান হায়দার আলী মোড়ল, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম সাইফুর রহমান মিন্টু, মাওলানা মুজিবুর রহমান,
উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা মুশফিকুর রহমান, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মুফতি আজিজুর রহমান সোহেল, মুফতি ড. রফিকুল ইসলাম, হাফেজ খান সাইদুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান, শেখ আমিরুল ইসলাম, ব্যাংকার মোল্লা মাকসুদুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন নিপু, দিঘলিয়া প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলামসহ বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি।
এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নের ইউপি সদস্য, সামাজিক ব্যক্তিত্ব এবং হাজারো সাধারণ মানুষ জানাজায় অংশ নেন।
মানবিক মূল্যবোধ, সততা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার কারণে দিঘলিয়া অঞ্চলে সালেহা বেগম ছিলেন অত্যন্ত সম্মানিত নারী প্রতিনিধিদের একজন। ইউপি সদস্য হয়েও তিনি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন—যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
তার মৃত্যুতে এলাকাবাসী একজন সৎ, কর্মঠ এবং আদর্শবান নারী নেতৃত্বকে হারাল—যার শূন্যতা সহজে পূরণ হবার নয়।
সবাই দোয়া করেন, আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের উচ্চ মর্যাদা দান করেন।