
অ্যাথলেটিকসের বিশ্বকাপ খ্যাত ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ আজ (শুক্রবার) শুরু হচ্ছে জাপানের জাতীয় অলিম্পিক স্টেডিয়ামে। ৯ দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন বিশ্বের নামীদামী অ্যাথলেটরা। অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, পোল্যান্ড, জামাইকা সহ বিভিন্ন দেশের অ্যাথলেটরা ইতোমধ্যেই স্টেডিয়ামে অনুশীলনে ব্যস্ত।
লং জাম্প ও হাই জাম্প ট্র্যাকে দেখা গেছে জামাইকান অ্যাথলেটদের। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার অ্যাথলেটরা অনুশীলন শেষ করে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন জাপানের নারী থ্রোয়ার হারুকা কিতাগুচি। এক বছর আগে প্যারিস অলিম্পিক গেমসে সোনাজয়ী এবং বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এই তারকাকে ঘিরে সাংবাদিকদের ভিড় জমে।
স্টেডিয়ামের ভেতরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। লাইট, ক্যামেরা ও সম্প্রচারের সরঞ্জাম স্থাপনে ব্যস্ত টেকনিশিয়ানরা। একই সময়ে সংবাদ সম্মেলনে ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সভাপতি, সাবেক স্বর্ণ জয়ী অ্যাথলেট সেবাস্তিয়ান কো এবং জাপান অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সভাপতি, সাবেক ম্যারাথন অলিম্পিয়ান ইউকো আরিমোরি এবারের আসরের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
জাপানের এই স্টেডিয়ামটি ২০১৯ সালে টোকিও অলিম্পিক গেমস উপলক্ষে নতুন করে নির্মাণ করা হলেও ২০২১ সালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দর্শক প্রবেশের সুযোগ হয়নি কোভিড মহামারির কারণে। দর্শকশূন্য গ্যালারিতে ইতালিয়ান মার্সেল জ্যাকবসের ১০০ মিটার স্প্রিন্ট স্বর্ণ জয় যেন ইতিহাসের সবচেয়ে নিস্তব্ধ এক উদযাপন ছিল।
প্রায় ৫ বছর পর এবার নতুন রূপে দর্শকে ভরতে যাচ্ছে ৬৭ হাজার ৭৫০ আসনের স্টেডিয়াম। এবারের প্রতিযোগিতায় নজর থাকবে প্যারিস অলিম্পিকের ১০০ মিটার স্প্রিন্ট চ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের নোয়া লাইলসের উপর। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ট্র্যাকে নামলে পুরো স্টেডিয়াম গর্জন করে উঠবে।
ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের ২০তম আসরকে কেন্দ্র করে আয়োজক জাপান নতুন প্রজন্মকে খেলাধুলায় আকৃষ্ট করতে আশাবাদী। প্রযুক্তির মোহ থেকে সরে এসে তরুণ প্রজন্ম মাঠে ফিরবে—এমন প্রত্যাশায় মুখর পুরো জাপান।