জাপান থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ২৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্তে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। তিনি এই শুল্ক আরোপকে ‘জাতীয় সংকট’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং এর প্রভাব মোকাবেলায় আন্তঃদলীয় আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে জাপানি কোম্পানিগুলো অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগকারী হওয়া সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই শুল্ক আরোপ করেছেন। এর ফলে জাপানের অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক ভারসাম্যে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাপানি পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইশিবা বলেন, “শুল্ক আরোপকে একটি জাতীয় সংকট বলা যেতে পারে এবং সরকার সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে এই প্রভাব মোকাবেলায়।”
তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার জন্য ‘ঠান্ডা মাথায়’ বিষয়টি মোকাবেলা করতে হবে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী ইশিবা তার মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন, শুল্ক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে, দেশীয় শিল্পকে অর্থায়ন সহায়তা দিতে, কর্মসংস্থান রক্ষা করতে, এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের নীতিগত ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে।
এই পদক্ষেপগুলোর লক্ষ্য হলো— জাপানি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে এবং মার্কিন বাজারে তাদের অবস্থান বজায় রাখতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই শুল্ক আরোপ শুধু জাপান নয়, গোটা এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি করতে পারে। ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত হলেও, এতে দীর্ঘমেয়াদে মার্কিন বিনিয়োগ পরিবেশেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।