বুধবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে (কেআইবি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, “যদি রাজনৈতিক দলগুলো বেশি সংস্কার না চায়, তবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর যদি তারা আরও সংস্কার চায়, তবে নির্বাচনের জন্য ছয় মাস বাড়তি সময় নেওয়া হবে।”
প্রেস সচিব বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার একটি রোডম্যাপ দিয়েছে। এই রোডম্যাপ দেশের মানুষের মধ্যে একটি জনআকাঙ্ক্ষা তৈরি করতে পেরেছে। আমরা দুটি সময়সীমা নির্ধারণ করেছি। যদি রাজনৈতিক দলগুলো বেশি সংস্কার না চায়, তাহলে ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। আর যদি তারা মনে করে, কিছু সংস্কার প্রয়োজন, তাহলে ভোটের জন্য আরও ছয় মাস সময় নিতে হবে।”
সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে আশাবাদ প্রকাশ করে শফিকুল আলম বলেন, “সবার সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা একটি ভালো নির্বাচন আয়োজন করতে চাই। এজন্য ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই কমিশনগুলো ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। তারপর এ নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রেস সচিব আরও বলেন, “দেশের অর্থনীতিকে আমরা স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে আসতে পেরেছি। অর্থনীতি যে গতিতে এগোচ্ছিল, সে অনুযায়ী রিজার্ভ থাকার কথা ছিল ২০ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু বর্তমানে রিজার্ভ রয়েছে ২২ বিলিয়ন ডলার। তাই বলা যায়, আমরা অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি।” তিনি আরও জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে দেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরেছে।
সংস্কার এবং নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে প্রেস সচিব বলেন, “সরকারের লক্ষ্য একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করা। এজন্য রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাত সংস্কারের কাজ চলছে। এসব সংস্কারের ফলে দেশ একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি।”