রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় গিয়ে সাক্ষাৎ করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তবে তার গাড়ির ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ডে জাতীয় পতাকা লাগানো থাকলেও যমুনা থেকে বের হওয়ার সময় সেটি না থাকায় গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যে তিনি উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, “এখনো পদত্যাগ করিনি। যে খবর ছড়িয়েছে, সেটা গুজব।”
গুঞ্জন রয়েছে, নতুন রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার জন্য নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, “উনি (নাহিদ) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজ সাক্ষাৎ করেছেন, শুধু এটুকু জানি। তথ্য উপদেষ্টা ছাড়াও আরও কয়েকজন উপদেষ্টা সাক্ষাৎ করেছেন। আমরা এটা নিয়মিত সাক্ষাৎ বলেই জানি।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করছে, যার নেতৃত্ব দেবেন নাহিদ ইসলাম। এ কারণে তিনি উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি নতুন এই রাজনৈতিক দলের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হবে বলে জানা গেছে।
ঢাকার বনশ্রীর বাসিন্দা নাহিদ ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে তিনি পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।
ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়, যেখানে নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা হন। তার সঙ্গে একই আন্দোলন থেকে উঠে আসা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও উপদেষ্টা হন। পরবর্তীতে আন্দোলনের আরেক নেতা মাহফুজ আলম প্রথমে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং পরে উপদেষ্টা হন।
নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। তবে নতুন রাজনৈতিক দলে তার যোগদান ও সরকারের উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর আলোচনা চলছে।