পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান, রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ি—এই তিন জেলার অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে হাইকোর্ট এক সপ্তাহের মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে। আদালত এই আদেশ দিয়েছে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)-এর করা একটি রিট আবেদন শুনানির পর।
আজ রোববার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫, বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী এর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। এছাড়া, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তিন জেলার প্রতিটি জেলা প্রশাসক কে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের আদেশের মাধ্যমে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম যাতে শুরু না হয়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি, আদেশের পর জেলা প্রশাসকদের অবশ্যই তাদের কার্যক্রমের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আদালতে শুনানি করেন, আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।
এই ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করতে ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি হাইকোর্ট একটি রুল জারি করেছিল। এরপর পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবি তাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপের দাবি জানায় এবং কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিল না করায় সম্প্রতি তারা আদালতে সম্পূরক আবেদন করে।
এর ফলে হাইকোর্টে আজকের শুনানির পর এই নতুন আদেশ প্রদান করা হয়।
এদিকে, রাঙামাটির ২৯টি ইটভাটার সবগুলো অবৈধ হওয়া সত্ত্বেও থেমে নেই ইট তৈরি কার্যক্রম। ২০২৪ সালের ২৪ থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত এনায়েতপুর অঞ্চলে ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান ও অভিযোগ ওঠে, যেখানে পাহাড়ি বন থেকে কাঠ পোড়ানোর ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
অতএব, অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে হাইকোর্টের উদ্যোগ আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা পরিবেশ রক্ষা এবং আইনগত শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করবে।