রোববার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটার মানবাধিকার নীতি বিষয়ক পরিচালক মিরান্ডা সিসন্সের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশবিরোধী বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা রোধে মেটার সহযোগিতা চেয়েছেন।
বৈঠকে ড. ইউনূস বলেন, “একটি ব্যাপক বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চলছে, এবং আমরা এর ভুক্তভোগী।” তিনি ফেসবুকের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ছড়ানো বিভ্রান্তি ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মেটাকে আহ্বান জানান।
জবাবে মেটার মানবাধিকার নীতি বিষয়ক পরিচালক মিরান্ডা সিসন্স বলেন, “মেটা সবসময় সতর্ক রয়েছে, যেন তাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কেউ বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে।”
বৈঠকে ড. ইউনূস প্রযুক্তিকে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য আরও ব্যবহারকারী-বান্ধব করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “প্রযুক্তি ঘটনা ঘটানোর একটি হাতিয়ার। কিন্তু এটি আমরা কী করতে চাই, তা নির্ধারণ করে না। তাই এটিকে আরও নিখুঁত করার জন্য পুনরায় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রয়োজন।”
ড. ইউনূস বলেন, “তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ফেসবুক একটি কার্যকর মাধ্যম হতে পারে।” তিনি বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর স্বার্থে ফেসবুকের সঙ্গে সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ, প্রধান উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সচিব সজীব এম খায়রুল ইসলাম, মেটার পাবলিক পলিসির প্রধান রুজান সারোয়ার, অ্যাসোসিয়েট জেনারেল কাউন্সেল নয়নতারা নারায়ণ, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের মিসইনফরমেশন নীতি বিষয়ক প্রধান অ্যালিস বুদিসাত্রিজো।
বৈঠকে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রতিরোধ এবং তরুণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা গুরুত্ব পেয়েছে। মেটা এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার সম্ভাবনাও উঠে এসেছে।