ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে ২৯ জন সন্দেহভাজন বাংলাদেশিকে আটক করেছে রাজ্য পুলিশ। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং জানিয়েছেন, তাদের কাছ থেকে আসাম রাজ্য থেকে ইস্যু করা আধার কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) এনডিটিভির একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে।
মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বরাত দিয়ে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মণিপুর পুলিশ মায়াং ইম্ফল বেঙ্গুন এলাকার একটি বেকারিতে অভিযান চালায়। ওই বেকারিতে কর্মরত অবস্থায় ২৯ জনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা মণিপুর সরকারের ইনার লাইন পারমিট (আইএলপি) নীতি লঙ্ঘন করেছেন।
আটককৃতদের নথিপত্র যাচাই করার সময় দেখা যায়, তারা আসামের আধার কার্ড ব্যবহার করছিলেন। এই সন্দেহে তাদেরকে বাংলাদেশি নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, যেহেতু আটককৃতদের নথিতে আসামের উল্লেখ রয়েছে, তাদেরকে আসাম প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট রাজস্ব দফতরের যেসব কর্মী এই ব্যক্তিদের জন্য আইএলপি ইস্যু করেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং আরও বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার মণিপুরের মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আইএলপি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। তবে যখন সরকারি কর্মকর্তারা নিজেরাই এই ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হন, তখন এর ফল ভয়াবহ হতে পারে। আমাদের আশঙ্কা, বাংলাদেশ থেকে বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশকারীরা মণিপুরে প্রবেশ করছেন।”
আটকের এই ঘটনা কেন্দ্র করে মণিপুরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং আইএলপি নীতির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, “এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য প্রশাসনের এই পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন জানিয়ে স্থানীয়রা আইএলপি নীতির সঠিক প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন।