২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরই অংশ হিসেবে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
ডিসিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পর এবার বিতর্কিত পুলিশ সুপারদের (এসপি) ভবিষ্যৎ নিয়েও আলোচনা চলছে। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৬৪ জেলার এসপিদেরও ওএসডি অথবা বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিতর্কিত নির্বাচনে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ জন ডিসি ওএসডি হয়েছেন। এর আগে একই কারণে ১২ জন কর্মকর্তা ওএসডি হয়েছিলেন।
ওএসডি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন- বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের পরিচালক (যুগ্মসচিব) কবীর মাহমুদ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. মাহমুদুল আলম, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সদস্য-পরিচালক (যুগ্মসচিব) মঈনউল ইসলাম, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) এ কে এম মামুনুর রশিদ, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কাজী আবু তাহের, রাজউকের সদস্য (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব গোপাল চন্দ্র দাশ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সচিব (যুগ্ম-সচিব) মো. মাসুদ আলম সিদ্দিক, এছাড়া আরও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের ওএসডি করা হয়েছে।
সরকার ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিতর্কিত ভূমিকা রাখা সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এসপি ও অন্যান্য কর্মকর্তাদেরও ওএসডি বা বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হতে পারে।