রাশিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেনের একটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে তাদের সেনাবাহিনী। রোববার (৫ জানুয়ারি) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর ১৭টি পাল্টা হামলা প্রতিহত করেছে রুশ বাহিনী। এতে ৪১০ জনের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি পশ্চিমা সাঁজোয়া যান, লেপার্ড ট্যাঙ্ক এবং ব্র্যাডলি যুদ্ধযান ধ্বংস করা হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকে জার্মানিতে তৈরি দুটি লেপার্ড ট্যাঙ্ক, একটি পদাতিক যুদ্ধযান এবং যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি একটি এম১১৩ সাঁজোয়া গাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে।
এছাড়া কিয়েভে ব্রিটেনে তৈরি ১০৫ মিলিমিটারের এল-১১৯ কামান ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মস্কো।
রাশিয়ার সামরিক অভিযানের আগে ইউক্রেনের কাছে বিপুল সংখ্যক সোভিয়েত আমলের মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান ছিল। এই যুদ্ধবিমানগুলো মস্কো সরবরাহ করেছিল।
পরবর্তীতে পোল্যান্ড ২০২৩ সালে ইউক্রেনকে আরও কিছু সোভিয়েত আমলের মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করে। তবে গত ডিসেম্বরে পোল্যান্ডের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী পাওয়েল জালেউস্কি জানান, জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপস না করে অবশিষ্ট যুদ্ধবিমানগুলো কিয়েভকে দেওয়া হবে না।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাতের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের অস্ত্র, সরঞ্জাম ও গোলাবারুদ সরবরাহ করেছে।
তবে রাশিয়া বারবার পশ্চিমা দেশগুলোর অস্ত্র সরবরাহের সমালোচনা করেছে। মস্কোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “কোনো ধরণের অস্ত্র সরবরাহই যুদ্ধক্ষেত্রের ফলাফল পরিবর্তন করতে পারবে না। বরং এতে উত্তেজনা আরও বাড়বে।”
রাশিয়ার কর্মকর্তারা বারবার পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহের বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা দিয়ে আসছেন। তাদের দাবি, এসব অস্ত্র যুদ্ধে কিয়েভের জয় নিশ্চিত করবে না। বরং সংঘাত আরও দীর্ঘায়িত হবে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে।
ভূপাতিত যুদ্ধবিমান: মিগ-২৯, ধ্বংস করা সাঁজোয়া যান: লেপার্ড ট্যাঙ্ক, ব্র্যাডলি যুদ্ধযান, এম১১৩, বিধ্বস্ত কামান: এল-১১৯, মৃত সেনা: ৪১০ জনের বেশি, পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহ: ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।