খুলনা রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে সাতটি ট্রেন ছেড়ে গেলেও আজ বুধবার মাত্র ছয়টি ট্রেন ছেড়েছে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সকাল ৬টায় খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ার কথা ছিল ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি। তবে হঠাৎ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণে ট্রেনটি আজ ছেড়ে যায়নি।
রেলওয়ে রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর আজ সকাল থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের সংখ্যা ছিল অনেক কম। স্টেশন কর্তৃপক্ষের মতে, অনেক যাত্রী ট্রেন চলাচল পুনরায় শুরু হওয়ার খবর জানেন না, যার ফলে যাত্রীসংখ্যায় প্রভাব পড়েছে। কর্মকর্তারা আশা করছেন, দুপুরের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
খুলনা রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন নির্ধারিত সময় অনুযায়ী খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেস’ সকাল ৬টায় যাত্রা করে। কিন্তু আজ ট্রেনটি ছেড়ে যায়নি। তবে অন্যান্য ট্রেন যথাসময়ে ছেড়েছে। এগুলো হলো:
বেতনা এক্সপ্রেস – সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে খুলনা থেকে যশোরের বেনাপোলের উদ্দেশে।
কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস – সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে রাজশাহীর উদ্দেশে।
রূপসা এক্সপ্রেস – সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে নীলফামারীর চিলাহাটির উদ্দেশে।
চিত্রা এক্সপ্রেস – সকাল ৯টায় ঢাকার উদ্দেশে।
রকেট মেইল – সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে চিলাহাটির উদ্দেশে।
মহানন্দা এক্সপ্রেস – বেলা ১১টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে।
খুলনা রেলওয়ের স্টেশনমাস্টার মো. জাকির হোসেন জানান, আজ ভোরের দিকে ট্রেন চলাচল পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত হয়। হঠাৎ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণে প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় সময় পাওয়া যায়নি, যার ফলে ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে অন্যান্য ট্রেন যথাসময়ে খুলনা থেকে নিজ নিজ গন্তব্যে ছেড়ে গেছে।
রেলওয়ে স্টেশনের কর্মকর্তারা আশা করছেন, দুপুরের মধ্যে যাত্রীদের উপস্থিতি বেড়ে যাবে এবং স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসবে।