পৃথক হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার এই আদেশ দেন।
পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত এই ছয়জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা পৃথক মামলাগুলোর মধ্যে মিরপুর থানায় আসিফ হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমান ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলেও আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মোহাম্মদপুর থানার ইনসান আলী হত্যাচেষ্টা মামলায় আনিসুল হকের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়, তবে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বাড্ডা থানায় করা সুমন সিকদার হত্যা মামলায় পুলিশ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত চার দিনের রিমান্ড অনুমোদন করেন। উত্তরা পশ্চিম থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। ধানমন্ডি থানায় করা রিয়াজ হত্যা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা তানভীর হাসান সৈকতের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এই ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার হন। সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে মোট ১০ মামলায় ৫৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। আনিসুল হকের মোট ৪৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে, এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের ১২ মামলায় মোট ৬০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
এছাড়া আজ আদালত পৃথক মামলায় সাবেক সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়াল, আইনজীবী মনোয়ার হোসেন ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন।
এই মামলাগুলোর তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে এবং রিমান্ডে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন তথ্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।