1. [email protected] : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. [email protected] : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. [email protected] : RT BD NEWS :
সুন্দরবনে পর্যটকদের ভিড়: অপার বিস্ময়ের সাক্ষী বিশ্ব ঐতিহ্য - RT BD NEWS
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ০৫:৩২ অপরাহ্ন

সুন্দরবনে পর্যটকদের ভিড়: অপার বিস্ময়ের সাক্ষী বিশ্ব ঐতিহ্য

খুলনা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫
সুন্দরবন

পর্যটকদের কাছে অপার বিস্ময়ের নাম সুন্দরবন। জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ এই বনভূমি প্রতি বছর দেশ-বিদেশের হাজারো পর্যটকের মনোযোগ আকর্ষণ করে। রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল হরিণ, বন্য শূকর, কুমির, ডলফিনসহ অসংখ্য প্রাণীর বিচরণ সুন্দরবনকে করেছে বিশ্বের অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্র থেকে স্বতন্ত্র। শীত মৌসুমে এখানে পর্যটকদের ভিড় সবচেয়ে বেশি হয়।

নভেম্বরের শুরু থেকেই সুন্দরবনে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়। শীত যত বাড়ে, ততই বাড়তে থাকে পর্যটকের সংখ্যা। এ বছর খুলনা প্রেস ক্লাবের শতাধিক সদস্যের একটি দল জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে তিন দিনের জন্য সুন্দরবন ভ্রমণে যান। তারা আন্ধারমানিক, কচিখালী, কটকা, ডিমেরচর, জামতলা সি বিচ এবং করমজল পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেন। বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর হিরণ পয়েন্ট ও দুবলারচরের চেয়ে আন্ধারমানিক, কচিখালী, কটকা, ডিমেরচর, জামতলা সি বিচে পর্যটকদের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

সুন্দরবনে সরাসরি বন্যপ্রাণী দেখা সবসময়ই রোমাঞ্চকর। আন্ধারমানিক, কচিখালী, কটকা ও অন্যান্য স্থানে বানর, হরিণ, বন্য শূকর, বিলুপ্তপ্রায় মদনটাক ও ঈগলের দেখা মিলেছে। করমজলের খালের পাড়ে বিশাল আকৃতির দুটি কুমির রোদ পোহাতে দেখা গেছে, যা পর্যটকদের দারুণ আনন্দ দিয়েছে।

পর্যটকদের অভিজ্ঞতার বিষয়ে খুলনা প্রেস ক্লাবের সদস্য হাসান আহমেদ মোল্লা বলেন, “করমজলের খালে ট্রলার নিয়ে না গেলে বিশাল আকৃতির তিনটি কুমির দেখতে পেতাম না। এটি আমাদের ভ্রমণকে আরও স্মরণীয় করেছে।” অন্যদিকে, একই ট্রলারে থাকা শামীমা নাসরিন সীমা বলেন, “এত কাছ থেকে এত বড় কুমির দেখার অভিজ্ঞতা সত্যিই অভূতপূর্ব।”

সুন্দরবনে আগে সাতটি পর্যটন স্পট ছিল, যা হলো: হারবাড়িয়া, কচিখালী, কটকা, হিরণ পয়েন্ট, দুবলারচর, কলাগাছিয়া ও করমজল। নতুন করে আরও চারটি স্পট যোগ হয়েছে: শরণখোলার আলীবান্ধা, চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিক, খুলনা রেঞ্জের শেখেরটেক ও কৈলাশগঞ্জ।

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের (টোয়াস) সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান ডেভিড জানান, বড় লঞ্চগুলোতে পর্যটকদের উপস্থিতি ভালো থাকলেও ছোট লঞ্চগুলোতে তেমন পর্যটক নেই। করমজল পর্যটন স্পটে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে।

সুন্দরবন বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো বলেন, “আমরা চাই সহনশীল মাত্রায় পর্যটক আসুক, যাতে বন ও জীববৈচিত্র্যের ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়ে। সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্য, এটি সংরক্ষণ করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।”

সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিবছর অসংখ্য পর্যটক এখানে আসেন। তবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে টেকসই পর্যটনের দিকে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট