বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল দায়িত্ব হচ্ছে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেছে এবং জনগণের অধিকার হরণ করেছে। ‘‘আজকের সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা স্পষ্ট, যা তাদের উপলব্ধি করা উচিত। যখন সরকার বুঝতে পারবে যে জনগণ তাদের ওপর আস্থা রেখেছে, তখন গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে,’’ বলেন ড. মঈন খান।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়া উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
ড. মঈন খান আরও বলেন, ‘‘এখন দেশের মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন হিসেবে সরকার ক্ষমতায় এসেছে এবং দেশের জনগণের মতামতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী আমরা, কারণ জনগণের ভোটে নির্বাচিত ব্যক্তিরাই সরকার গঠন করবেন।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা একটি নির্বাচিত সংসদ গঠন করতে চাই, যেখানে জনগণ তাদের মতামত প্রতিফলিত করতে পারে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে এবং দেশের ভবিষ্যতের জন্য সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।’’ তিনি আরও জানান, ‘‘অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সুতরাং আগামী ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা সম্ভব।’’
বীর মুক্তিযোদ্ধা ইমরানুল হক চাকলাদার, যিনি এক দশক যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন, দীর্ঘ ৯ বছর পর দেশে ফিরেছেন। তিনি টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় এসে শেরেবাংলা নগরে জিয়া উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘‘বিগত স্বৈরশাসকের আমলে আমি দেশে আসতে পারিনি, কিন্তু আজ এখানে এসে আমি আপ্লুত। আমি আশা করি আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে কাজ করব এবং জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।’’
ইমরানুল হক চাকলাদার আন্তর্জাতিক স্তরে শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বড় ভূমিকা পালন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবস্থায় তিনি ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন এবং শেখ হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে একটানা কাজ করেছেন। তার প্রত্যাবর্তনের মুহূর্তে মুন্সীগঞ্জ-২ এলাকার জনগণ তাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
ড. আব্দুল মঈন খান ও ইমরানুল হক চাকলাদার উভয়েই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং সুষ্ঠু নির্বাচন প্রসঙ্গে তাদের কথা তুলে ধরেন। তারা দেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে এবং জনগণের অধিকার রক্ষায় সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ আশা করেন।