ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের স্বাক্ষর করা সুপারিশপত্র ব্যবহার করে যমুনা লাইফ ইনস্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে আবারো নিয়োগের জন্য বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)-এর কাছে আবেদন করেছেন কামরুল হাসান খন্দকার। তবে জানা গেছে, উপদেষ্টার স্বাক্ষর করা সুপারিশপত্রটি জাল।
ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অফিসার মুহম্মদ জসীম উদ্দিন বুধবার (১ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “উপদেষ্টা মহোদয় তার সব ডিওতে বাংলায় স্বাক্ষর করেন, কিন্তু সুপারিশপত্রটি ইংরেজিতে করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ জাল।”
কামরুল হাসান খন্দকার বর্তমানে যমুনা লাইফ ইনস্যুরেন্সের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার নিয়োগ নবায়নের জন্য আইডিআরএ অনুমোদন প্রয়োজন। এর আগে তার প্রথম দফার আবেদন নামঞ্জুর হয়। পরে ২৪ ডিসেম্বর, দ্বিতীয় দফায় তিনি সুপারিশপত্রসহ আবেদন করেন, যেখানে উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের নামের সিল ব্যবহার করা হয়েছে এবং ইংরেজিতে সই করা হয়েছে।
এর আগে, ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর, কামরুল হাসান খন্দকার তার শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে যমুনা লাইফের সিইও পদে নিয়োগ নবায়নের জন্য আবেদন করেছিলেন। তবে তার বিদেশি এমবিএ ডিগ্রির মান সমতাকরণের জন্য আইডিআরএ কর্তৃক প্রয়োজনীয় প্রত্যয়নপত্র দাখিল করার জন্য বলা হয়। কিন্তু কামরুল হাসান এই বিষয়ে কোনো প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে পারেননি, ফলে তার আবেদন নামঞ্জুর হয়।
এদিকে, ২৪ ডিসেম্বর উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বরাবর একটি পত্র দেন, যেখানে তিনি বলেছেন, “কিছু অসাধু ব্যক্তি বা গোষ্ঠী আমার নাম বা আত্মীয় পরিচয় ব্যবহার করে অবৈধ সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছে, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক।”
তিনি আরো বলেন, “যদি আমার সই নকল বা জাল করে কোনো আবেদন দাখিল করা হয়, তাৎক্ষণিকভাবে আমার একান্ত সচিবকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করছি।”
এ ঘটনায় যে কোনো ধরনের অনৈতিক কার্যক্রম প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।