1. hmonir19799@gmail.com : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. rtbdnews@gmail.com : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. info@www.rtbdnews.com : RT BD NEWS :
বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কালীগঞ্জে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ মঠবাড়িয়ায় ২৫ কিলোমিটার সড়কে পরিবেশবান্ধব বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু কালীগঞ্জে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার-বীজ বিতরণ পিরোজপুর সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ফলাফল স্থগিত পিরোজপুরে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির থানা ও কোর্ট পরিদর্শন কালীগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শোভাযাত্রা ও সমাবেশে হাজারো নেতাকর্মীর অংশগ্রহণ খুলনায় দুর্নীতি বিরোধী প্রতিযোগিতা, ইন্দুরকানীতে ভুয়া ছবি এডিট করে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে গুজব ইন্দুরকানীতে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার ছবি এডিট করে ফেসবুকে গুজব, থানায় জিডি ঢাকা বিভাগসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর পিরোজপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ঝিনাইদহের মাঠে মাঠে সরিষা নয় যেন হলুদের সমারোহ

আরিফ মোল্ল্যা
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে চলতি মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে উন্নত জাতের সরিষা চাষ হয়েছে। বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠজুড়ে এখন হলুদের সমারোহ। বেড়ে ওঠা গাছ আর ফুল দেখে অধিক ফলনের স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা। গত বছর স্থানীয় বাজারে উন্নত জাতের সরিষার চাহিদা ও দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা এবার সরিষা চাষে অধিক আগ্রহী হয়ে উঠেছে পাশাপাশি ব্যস্ততা বেড়েছে মৌচাষিদের মধু সংগ্রমে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রত্যেক সরিষা চাষি অধিক লাভবান হবেন বলে মনে করছেন কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর সদর উপজেলায় ৩৮২৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৩৫৫ মেট্রিক টন। সিংহভাগই কৃষকরা জমিতে উচ্চ ফলনশীল বারি সরিষা-১৪ ও টরি-৭ জাতের সরিষা চাষ করেছেন। চলতি মৌসুমের শুরুতে উপজেলা কৃষি বিভাগ অধিক ফলনশীল বারি সরিষা-১৪ ও টরি-৭ জাতের সরিষা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে। এ দুটি জাতের সরিষা মাত্র ৭০-৭৫ দিনে ঘরে তোলা যায়। প্রতি হেক্টরে বারি সরিষা-১৪ জাত ১.১৪.৬ টন ও টরি-৭ জাতের ফলন হয় ০.৯৫১ টন। সরিষা কেটে ওই জমিতে আবার বোরো আবাদ করা যায়।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সরিষা লাভজনক একটি ফসল। সরিষা চাষে আর্থিক খরচ ও শ্রম দু’টিই কম লাগে। তাছাড়া গত বছর সরিষার নায্যমূল্য পাওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা এবার ব্যাপকভাবে সরিষা চাষ করেছেন।

সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শনে দেখা গেছে, সদর উপজেলার ১৩ নং ফুরসন্ধী ইউনিয়নের জিথড় ভবানিপুর ফসলের মাঠগুলো সরিষা ফুলের হলুদ রঙে অপরুপ শোভা ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে কোন কোন জমিতে তাজা সরিষা ফুল, কোন জমিতে ফুল ঝরতে শুরু করেছে, কোন জমির গাছগুলোতে আবার সরিষার দানা বাঁধতে শুরু করেছে। প্রতিটি জমিতেই তরতাজা সবুজ সরিষা গাছগুলোতে হলুদ ফুলে ফুলে ভরে ওঠায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটতে শুরু করেছে।

জিথড় ভবানিপুর গ্রামের চাষী আব্দুল লতিফ বলেন, এ বছর ৪ বিঘা জমিতে টরি-৭ জাতের সরিষার আবাদ করেছি। বিঘা প্রতি ৩-৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি ফলন ভালো হবে। শুরু থেকেই কৃষি অফিস নানা উপকরণসহ পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছে।

একই এলাকার চাষী মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, চলতি মৌসুমে তিনি ৮ বিঘা জমিতে বারি সরিষা-১৪ জাতের উচ্চ ফলনশীল সরিষা চাষ করেছেন। যা থেকে তিনি ৮০ মণ সরিষা পাবেন বলে আশা করছেন। বর্তমানে প্রতিমণ সরিষা ৩হাজার-৩হাজার ৫শ টাকা দরে ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে। তিনি আরও জানান, গত বছর ৮ বিঘা জমিতে খরচ খরচা বাদে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিলো।

কৃষক নাজমুল হোসেন বলেন, গত বছর বৃষ্টিপাতের কারণে সরিষার ফলন কম হয়েছিলো কিন্তু বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় কৃষি অফিসের পরামর্শে এবার ১০ বিঘা জমিতে উন্নত জাতের সরিষা আবাদ করেছি। প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার টাকা। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষা উৎপাদন করে তিনি যথেষ্ট লাভবান হতে পারবেন বলে আশাবাদী।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নূর-এ-নবী জানান, প্রতিবছর ভোজ্যতেল আমদানির পেছনে যে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয় তা কমিয়ে আনতে কৃষকদের সরিষার আবাদ বৃদ্ধির জন্য প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। উন্নতজাতের সরিষা চাষে কৃষকদের মাঝে মাঝে প্রণোদনার মাধ্যমে উপকরণ সহায়তাসহ নানা পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া তেল জাতীয় প্রকল্পের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের প্রদর্শনী দেয়া হচ্ছে ফলে কৃষকরা সরিষা চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তিনি আরও বলেন আমরা মোট ৩হাজার ৫শ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সরিষার বীজ ও সার প্রদান করেছি। এবিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্টী চন্দ্র রায় জানান, এ জমিতে শুধু সরিষায় নয় কিভাবে বোরো ও আমন ধান চাষের জন্য কি জাত ব্যবহার যায় পাশাপাশি অন্যান্য ফসলও চাষাবাদ করা যায় সে বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছে। তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে সরিষার আবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে এবং অচিরেই ভোজ্য তেল আমদানি করা বাদেই সরিষা থেকে দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। জেলায় এবছর সরিষার আবাদ হয়েছে ১২ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৬০৬ হেক্টর।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট