২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তবে প্রচলিত রীতির বাইরে গিয়ে তিনি কট্টর ডানপন্থী ও জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে ইউরোপের মধ্যমপন্থীদের বাদ দিয়ে কট্টর ডানপন্থী নেতারা উল্লেখযোগ্য স্থান পেয়েছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার শপথ অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তবে চীনা নেতার উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া কঠিন। কারণ চীন কর্তৃপক্ষের বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে কঠোর নিয়মনীতি রয়েছে, যা পরিকল্পনা করতে বেশ কয়েক মাস সময় নেয়। সি চিন পিং উপস্থিত না থাকলেও, চীনের তরফ থেকে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যেমন ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন।
এই শপথ অনুষ্ঠানে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার মিলেই উপস্থিত থাকবেন, যাদের ট্রাম্প বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এছাড়া রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসাকারী হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট ভিক্টর অরবানও আমন্ত্রিত, তবে তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না।
শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ফ্রান্সের অভিবাসনবিরোধী রাজনীতিবিদ জেমোর, ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত কারেন পিয়ার্স, যুক্তরাজ্যের ডানপন্থী নেতা নাইজেল ফারাজ, জার্মানির কট্টর ডানপন্থী নেতা অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) দলের অ্যালিস ভাইদেল, স্পেনের জাতীয়তাবাদী নেতা সান্তিয়াগো আবাস্কাল, পর্তুগালের ডানপন্থী নেতা আন্দ্রে ভেন্তুরা এবং আরও অনেকে। প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস এবং মার্ক জাকারবার্গের নামও রয়েছে।
তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতা আমন্ত্রণ পাননি, যেমন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভনডার লেন, ফ্রান্সের কট্টর ডানপন্থী নেত্রী মেরিন লা পেন এবং তাঁর শিষ্য জর্দান বারদেলা, এবং জার্মানির নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত অ্যালিস ভাইদেল। তবে তিনি দলের আরেক নেতা তিনো ক্রপালা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এছাড়া, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় না থাকলেও, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর নিশ্চিত করেছেন, তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
আগামী ২০ জানুয়ারি, ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন এবং তার পরবর্তী পররাষ্ট্রনীতি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সূচনা হবে এই অনুষ্ঠান।