ইংরেজি নববর্ষ ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে বেশকিছু নির্দেশনা জারি করেছিল। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ফানুস উড়ানো ও পটকা-আতশবাজি ফোটানো নিষিদ্ধ করা। তবে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেশজুড়ে আতশবাজি ও ফানুস উড়িয়ে নতুন বছর উদযাপন করেছে জনগণ।
নতুন বছরের প্রথম প্রহর, মঙ্গলবার রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে আতশবাজি আর ফানুস উড়ানোর মাধ্যমে ২০২৫ সালকে স্বাগত জানানো হয়। এই উদযাপন জনমনে আনন্দ সৃষ্টি করলেও শব্দদূষণ এবং নিরাপত্তাজনিত সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
থার্টি ফার্স্ট নাইটের উদযাপনের সময় উচ্চশব্দে গান-বাজনা, হই-হুল্লোড় এবং আতশবাজির কারণে শব্দদূষণ নিয়ে দেশের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ অভিযোগের ঢল নামে। ৯৯৯-এর পুলিশ পরিদর্শক (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) আনোয়ার সাত্তার জানান, মঙ্গলবার রাতে শব্দদূষণের প্রতিকার চেয়ে মোট ১,১৮৫টি কল পেয়েছে সেবা কেন্দ্র। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর থেকে ৩৮৭টি এবং দেশের অন্যান্য স্থান থেকে ৭৯৮টি কল গৃহীত হয়।
৯৯৯-এর পক্ষ থেকে প্রতিটি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশের কাছে পাঠানো হয়। তবে এত বিপুল সংখ্যক অভিযোগের পরও শব্দদূষণ ও আতশবাজির উচ্চশব্দ ঠেকানো সম্ভব হয়নি।
উদযাপনের অংশ হিসেবে ফানুস উড়ানোর সময় ঢাকার ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের পাশে স্বপ্ন শপিং মলের সামনে ফানুস থেকে আগুন ধরে যায়। তবে সৌভাগ্যক্রমে, ৯৯৯-এর তৎপরতায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের একটি দল ঘটনাস্থলে রওনা দিলেও স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় ফায়ার সার্ভিস পৌঁছানোর আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। এ ঘটনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
নববর্ষ উদযাপনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং শব্দদূষণ প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা প্রয়োজনীয় হলেও উদযাপনে জনসাধারণের অংশগ্রহণ ও আইন মানার বিষয়টি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে।
নতুন বছরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপ জনমনে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং পরিবেশগত সমস্যাগুলো এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।