যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্ত দেখতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প। শপথ নেওয়ার পূর্বেই এই সমস্যা সমাধান না হলে দায়ীদের জন্য ‘গুরুতর সমস্যা হবে’ বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল সোমবার তাঁর নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে বলেন, “২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগেই যদি গাজায় জিম্মিদের মুক্ত করা না হয়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে এবং মানবতার বিরুদ্ধে এমন নৃশংসতার জন্য দায়ীদের গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে।”
গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায়। এএফপির তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় ১ হাজার ২০৮ জন নিহত হন, যাঁদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। সেই সঙ্গে হামাসের হাতে জিম্মি হন আরও ২৫১ জন। সময়ের সঙ্গে কিছু জিম্মি মারা গেছেন এবং কয়েকজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো ৯৭ জন জিম্মি গাজায় বন্দী রয়েছেন।
এই হামলার পর পাল্টা আক্রমণে নামে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধ এখনো অব্যাহত। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় নারী-শিশুসহ প্রায় ৪৪ হাজার ৫০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা বর্তমানে মানবিক সংকটে ভুগছে।
পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং বন্দি বিনিময় নিশ্চিত করতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম জানিয়েছেন, ট্রাম্প এই সংকট সমাধানে তৎপর এবং তাঁর লক্ষ্য হচ্ছে মানবিক পরিস্থিতি উন্নয়ন এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনা।
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী করার ইঙ্গিত বহন করছে। পাশাপাশি তিনি মানবিক এবং আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলোতে তাঁর প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁর এই বক্তব্যের পরপরই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।