নির্বাচন নিয়ে একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আলোকপাত করেছেন যে আগামী ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ নির্বাচন কমিশন দেবে। এর চেয়ে ক্লিয়ার রোডম্যাপ আর কী হতে পারে।’
শিক্ষাখাতের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগে স্কুল-কলেজে বদলি ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে ঘুষ লেনদেনের প্রচলন রয়েছে। এসব অনিয়ম বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একই সঙ্গে গুণগত পরিবর্তন আনতে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে শফিকুল আলম বলেন, শিক্ষা কমিশন গঠনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও ইতিমধ্যে সরকার জরুরি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— ক্লাস নাইন ও টেনের টেক্সট বুক পরিমার্জন করে আধুনিক করা হবে। শিক্ষার্থীদের আধুনিক ও কার্যকর শিক্ষার জন্য কারিকুলাম উন্নয়ন করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার উন্নয়নের লক্ষ্যে ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন (UGC) এর সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গ্রান্টস/মঞ্জুরি বাদ দিয়ে শুধু ‘ইউনিভার্সিটি কমিশন’ নামে নতুন কাঠামো চালু করা হবে।
শফিকুল আলম আরও বলেন, আইসিটি শিক্ষাকে দ্রুত বিশ্বমানের করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, বিশ্বের মানদণ্ড অনুযায়ী বাংলাদেশের শিক্ষাখাতে বরাদ্দ খুবই কম। তিনি পূর্ববর্তী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘গত সরকার অনেক অপ্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করেছে, কিন্তু শিক্ষাখাতে যথাযথ বরাদ্দ দেয়নি।’
তিনি আশ্বাস দেন যে, শিক্ষাখাতে বরাদ্দ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করা হবে এবং অপ্রয়োজনীয় খাতগুলোতে ব্যয় কমিয়ে শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়ানো হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের এই বক্তব্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ এবং শিক্ষাখাতের আমূল পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট হয়েছে। সরকারের এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে আগামীতে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন এবং শিক্ষাখাতে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।