মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনোনীত নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। হেগসেথের ভাইয়ের সাবেক স্ত্রী ড্যানিয়েল হেগসেথ অভিযোগটি তুলে ধরেন। মার্কিন সিনেটের আর্মড সার্ভিসেস কমিটির কাছে জমা দেওয়া তাঁর হলফনামায় এ বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।
ড্যানিয়েলের হলফনামায় উল্লেখ রয়েছে, পিট হেগসেথ তাঁর সাবেক স্ত্রী সামান্থার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। যদিও নির্যাতনের ধরন সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বর্ণনা দেননি ড্যানিয়েল, তবে তিনি জানান, সামান্থা নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন। সাহায্যের প্রয়োজন হলে সামান্থা একটি সাংকেতিক শব্দ ব্যবহার করতেন বলে জানান ড্যানিয়েল।
হলফনামায় ড্যানিয়েল উল্লেখ করেন, একাধিক পারিবারিক অনুষ্ঠানে পিট হেগসেথ অতিরিক্ত মাদক ও মদ পান করতেন। তিনি ২০১৩ সালে অন্তত দুবার তাঁকে প্রকাশ্যে মদ্যপ অবস্থায় দেখতে পান।
এনবিসি নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পিট হেগসেথের সাবেক স্ত্রী সামান্থা বলেন, “আমার বিবাহিত জীবনে শারীরিক নির্যাতন হয়নি।” তিনি তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতেও রাজি নন।
পিট হেগসেথের আইনজীবী টিম পার্লাটো অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ড্যানিয়েল হেগসেথ একজন আজীবন ডেমোক্র্যাট সদস্য, যিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই অভিযোগ এনেছেন।
পিট হেগসেথের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়ে গেছে। সিনেটে শীঘ্রই এ বিষয়ে ভোটাভুটি হবে। তবে হেগসেথের নিয়োগ নিশ্চিত করতে সিনেটের চার রিপাবলিকান সদস্যের বিরোধিতা প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত বিরোধিতার তেমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
পিট হেগসেথ এর আগেও কর্মক্ষেত্রে যৌন নিপীড়ন এবং অতিরিক্ত মদপানের অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। যদিও তিনি এসব অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ নিশ্চিত হলে মাদক গ্রহণের কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
হেগসেথের বিরুদ্ধে ওঠা নতুন অভিযোগ এবং তাঁর নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সিনেটের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবিষ্যৎ কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।