লতি বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর তিন মাসেরও বেশি সময় পার করেছে নতুন সরকার। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। ভাষণে তিনি সংস্কার, নির্বাচন, অর্থনীতি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারের প্রসঙ্গসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা করেন।
ভাষণের শুরুতেই ড. ইউনূস মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং জুলাই-আগস্ট মাসে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণ করেন। এরপর শেখ হাসিনার বিচারের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ১৫ বছরের সকল মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং রাজনৈতিক দুর্নীতির জন্য তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
তিনি জানান, শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর সেখানে ফেরত চাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনার শাসনামলে সংঘটিত প্রতিটি অপরাধের বিচার হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
ড. ইউনূস তার ভাষণে নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে বলেন, “নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। এটা আর থামবে না।”
তিনি জানান, কয়েক দিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। এরপর নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত থাকবে। তবে নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ সম্পর্কে সরাসরি কিছু উল্লেখ করেননি।
ড. ইউনূসের ভাষণ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ অনেকের জন্য আশাব্যঞ্জক হলেও তিনি কিছুটা আশাহত হয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমি আশা করেছিলাম প্রধান উপদেষ্টা তার প্রজ্ঞা দিয়ে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করবেন এবং নির্বাচনের একটি স্পষ্ট রূপরেখা দেবেন। কিন্তু তা হয়নি। দ্রুত নির্বাচন হলে দেশের মঙ্গল হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে সেই পথেই এগোতে হবে।”
বিএনপি মহাসচিব ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “সংস্কারের কাজ যেন সঠিকভাবে হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এখনো অনেক বাধা আছে, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, বর্তমান সরকার সফল হবে।”