মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে এক বাবা পুলিশ অফিসারদের সামনেই নিজের ২০ বছরের মেয়েকে গুলি করে হত্যা করেছেন। ঘটনা ঘটেছে ১৪ জানুয়ারি, মঙ্গলবার, যখন মেয়ে তনু গুর্জরের বিয়ের আয়োজন চার দিন আগে ছিল।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তনু গুর্জর তার পরিবারের আয়োজিত বিয়েতে অংশ নিতে অস্বীকার করেন এবং নিজের পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। তার পরিবার তনুর এই সিদ্ধান্ত মেনে না নিয়ে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করছিল। তনু ওই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যেখানে তিনি বলেন, “আমি ভিকিকেই বিয়ে করতে চাই। আমার পরিবার প্রথমে রাজি হলেও এখন অস্বীকার করছে। তারা আমাকে মারধর করেন এবং মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। যদি আমার কিছু হয়ে যায়, তবে তার জন্য দায়ী আমার পরিবার।”
এই ভিডিওটি দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়, যা দেখে ক্ষিপ্ত হন তনুর বাবা মহেশ গুর্জর। তিনি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পুলিশকর্তাদের সামনে থেকেই তনুকে গুলি করেন। তনুর ভাই রাহুলও অতিরিক্ত গুলি চালিয়ে তার মৃত্যুর নিশ্চিত করেন।
তনুর মৃত্যুর ঘণ্টাখানেক আগে পুলিশের কাছে তথ্য পৌঁছানোর পর একটি কমিউনিটি পঞ্চায়েত সভা বসে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছিল। পুলিশের উপস্থিতিতে তনুর বাবা মহেশ গুর্জর তাকে ভেতরের একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে গুলি করেন। তনুর বুকে, কপালে এবং ঘাড়ে গুলি লাগে এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এরপর মহেশ গুর্জর পিস্তল হাতে পুলিশকর্তাদের ওপর চড়াও হন। পুলিশ মহেশকে গ্রেপ্তার করলেও তার ছেলে রাহুল পালিয়ে যান। রাহুলের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।
এনডিটিভি জানায়, তনুর দীর্ঘ ছয় বছরের সম্পর্ক ছিল উত্তরপ্রদেশের আগ্রার বাসিন্দা ভিকি মাওয়াই নামের এক ব্যক্তির সাথে। তনুর মৃত্যুর ঘটনায় গোয়ালিয়র পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং মামলার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।