1. [email protected] : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. [email protected] : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. [email protected] : RT BD NEWS :
বিশ্ব যুদ্ধ অনাথ শিশু দিবস: যুদ্ধে মানবতা ও শিশুদের পরিণতি, জাতিসংঘের ভূমিকা - RT BD NEWS
রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন

বিশ্ব যুদ্ধ অনাথ শিশু দিবস: যুদ্ধে মানবতা ও শিশুদের পরিণতি, জাতিসংঘের ভূমিকা

প্রতিবেদকের নাম :
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৫
সম্পাদকীয়

আজকের পৃথিবী যুদ্ধ, সহিংসতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিপর্যস্ত। বর্তমানে ফিলিস্তিন, গাজা, ইসরাইল, নেবানল, প্যালেস্টাইন, ইউক্রেন, রাশিয়া, মায়ানমারসহ নানা দেশ এবং অঞ্চল সংঘাত ও যুদ্ধের মুখোমুখি। এই সংঘাতের মূল শিকার হচ্ছেন অনাথ শিশু—তারা তাদের পিতা-মাতা, পরিবার এবং একটি নিরাপদ পরিবেশ হারিয়ে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যায়। ৫ জানুয়ারি বিশ্ব যুদ্ধ অনাথ শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়, যা শিশুদের প্রতি যুদ্ধের প্রভাব এবং জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রতিবেদনে, আমরা যুদ্ধের কারণে শিশুদের দুর্দশা, তাদের পূর্ণবাসনে জাতিসংঘের ভূমিকা এবং যুদ্ধের সমাপ্তিতে জাতিসংঘের সফলতা ও ব্যর্থতা বিশ্লেষণ করব।

যুদ্ধের প্রভাব শুধুমাত্র দেশ ও রাষ্ট্রের সীমায় সীমাবদ্ধ থাকে না, তা মানবিক সংকট তৈরি করে, বিশেষ করে শিশুদের জন্য। যুদ্ধ চলাকালীন পরিবারগুলো তাদের পিতা-মাতা, ভাই-বোন ও প্রিয়জনদের হারিয়ে অনাথ হয়ে পড়ে। এসব শিশুর জন্য শুধুমাত্র শারীরিক ক্ষতি নয়, মানসিক ও মানসিকভাবে বিরাট প্রভাব পড়ে। যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের নিরাপদ আশ্রয়ের অভাব, চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা ও খাবারের অভাব তাদের জীবনকে সংকটাপন্ন করে তোলে।

বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান যুদ্ধের কারণে শিশুরা শিকার হচ্ছে। যেমন গাজায় হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে সংঘর্ষ, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পরিণতি, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন, এবং ফিলিস্তিন ও প্যালেস্টাইনের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সহিংসতা—এইসব সঙ্কটগুলি শিশুদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়ে অস্থিরতার মধ্যে বসবাস করছে, যেখানে সুরক্ষা, শিক্ষা ও শারীরিক নিরাপত্তা দূরবর্তী বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যুদ্ধের ফলে শিশুরা যে শারীরিক ক্ষতির শিকার হয়, তা ভিন্ন মাত্রায়। ক্ষুধা, অসুস্থতা, অবহেলা, যন্ত্রণা ও অপুষ্টি তাদের স্বাভাবিক শারীরিক ও মানসিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে। কিন্তু শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি, যুদ্ধের ফলে শিশুরা যে মানসিক আঘাত পায়, তা সবচেয়ে বড় সমস্যা। তারা ভয়, আতঙ্ক, বিভ্রম এবং হতাশায় ভুগে থাকে, যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

জাতিসংঘ, বিশেষভাবে ইউনিসেফ (UNICEF), শিশু অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ইউনিসেফ এবং জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থাগুলো মানবিক সহায়তা প্রদানে নিবেদিত। যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে তারা জরুরি সাহায্য প্রদান করছে—খাবার, পানি, আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার সুযোগ। বিশেষভাবে, শিশুরা যে অনাথ হয়ে পড়েছে, তাদের জন্য একটি জীবনযাত্রার পথ তৈরির লক্ষ্যে পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

যতই সহায়তা দেওয়া হোক না কেন, বিশ্বজুড়ে যে বিশাল সংখ্যক অনাথ শিশু রয়েছে, তাদের জন্য একটি টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদী পুনর্বাসন প্রক্রিয়া খুবই জরুরি। যদিও জাতিসংঘ শিশুদের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সাহায্য দিচ্ছে, তবে যুদ্ধের কারণে যে ধ্বংসযজ্ঞ তৈরি হচ্ছে, তাতে তাত্ক্ষণিক সাহায্যের থেকেও দীর্ঘমেয়াদী সমাধান প্রয়োজন।

জাতিসংঘের বিশেষ শিশু অধিকার সুরক্ষা বিষয়ক কনভেনশনও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, শোষণ, ও যুদ্ধের খারাপ প্রভাব থেকে রক্ষা করার জন্য নির্দেশিকা তৈরি করেছে। ইউনিসেফের কাজ এইসব দেশের সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতে শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার সুযোগ এবং অন্যান্য মানবিক সহায়তা প্রদান করা।

তবে জাতিসংঘের কাজের বড় প্রতিবন্ধকতা হল যে, নানা দেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা উদ্যোগগুলো কখনো কখনো সীমিত হয়ে পড়ে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর স্বার্থের কারণে অনেক সময় তাদের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি হয়।

যুদ্ধের অবসান এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা জাতিসংঘের প্রধান লক্ষ্যগুলোর মধ্যে একটি, কিন্তু বাস্তবে, জাতিসংঘের উদ্যোগ সবসময় সফল হয়নি। উদাহরণস্বরূপ, ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘর্ষ, গাজার পরিস্থিতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন—এইসব পরিস্থিতি জাতিসংঘের শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় অগ্রগতি সীমিত করেছে।

বিশ্বের বেশিরভাগ অঞ্চলে যুদ্ধের অবসান কখনোই সহজ নয়। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম ভেটো ক্ষমতা এবং রাজনীতিক প্রতিকূলতার কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের উদাহরণ নিলে দেখা যায়, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘের উদ্যোগ সফল হয়নি। এটি আবারও প্রমাণ করেছে যে জাতিসংঘের শান্তি প্রতিষ্ঠা কার্যক্রম সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না যদি যুদ্ধের কারণগুলি রাজনৈতিক শক্তির দ্বারা পরিচালিত হয়।

যুদ্ধের কারণে শিশুদের দুর্দশা অবসানের জন্য জাতিসংঘ এবং বিশ্বের সব দেশের উচিত একযোগে কাজ করা। যুদ্ধ বন্ধে ন্যায়বিচার ও শান্তিপূর্ণ আলোচনার মধ্য দিয়ে সমস্যা সমাধান করার জন্য কাজ করতে হবে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংকটগুলোর মধ্যে যুদ্ধের প্রভাব মোকাবেলা করা জরুরি। ইউনিসেফ এবং জাতিসংঘকে আরও সক্রিয়ভাবে যুদ্ধপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে দাতা রাষ্ট্র, উন্নয়ন সংস্থা এবং মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় তৈরি করতে হবে। এভাবে যুদ্ধকবলিত অঞ্চলের শিশুরা শারীরিক ও মানসিকভাবে পুনর্বাসিত হতে পারবে।

বিশ্বব্যাপী একটি মানবিক সহানুভূতিশীল মনোভাব তৈরি করা এবং শিশুদের জন্য নিরাপদ ভবিষ্যৎ তৈরি করতে সকল দেশকে যুদ্ধ না করার শপথ নিতে হবে।

বর্তমান পৃথিবী যুদ্ধ, সহিংসতা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এক বিরাট মানবিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। ফিলিস্তিন, গাজা, ইসরাইল, নেবানল, প্যালেস্টাইন, ইউক্রেন, রাশিয়া, মায়ানমারসহ পৃথিবীর নানা অঞ্চলে সংঘাত ও যুদ্ধের প্রবণতা বিপর্যস্ত করছে মানুষের জীবন ও মানবাধিকার। এই অস্থির পরিস্থিতির মূল কারণগুলি গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে এবং জাতিসংঘের কাছে এর প্রতিকার বিষয়ে আরও আন্তরিক মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরাই এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য।

যুদ্ধ এবং সহিংসতার উৎস অনেক গভীরে অবস্থান করছে, যেখানে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামরিক এবং জাতিগত সঙ্কটগুলো একে অপরকে প্রভাবিত করে। কয়েকটি প্রধান কারণ যা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘাত সৃষ্টি করছে:

অনেক অঞ্চলের রাজনৈতিক কাঠামো দুর্বল, যেখানে সরকারগুলোর মধ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, এবং জনগণের মধ্যে আস্থার অভাব দেখা দেয়। ফিলিস্তিন-ইসরাইল, রাশিয়া-ইউক্রেন, এবং মিয়ানমারের সঙ্ঘর্ষগুলো এরই ফলে সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে একপক্ষের প্রতি অন্যপক্ষের অবিশ্বাস এবং নিপীড়ন ছিল প্রধান ফ্যাক্টর।

বিশ্বের অনেক দেশ অত্যন্ত ধনী এবং অন্যান্য দেশগুলো দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। সম্পদের অসম বণ্টন এবং দুর্বল অর্থনৈতিক নীতির কারণে রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুর্বল অর্থনীতি দেশের অভ্যন্তরে সহিংসতার সৃষ্টি করে, যেমন মায়ানমারে সংঘটিত গণতন্ত্রের জন্য লড়াই, যেখানে সামরিক শাসনের অধীনে দেশের জনগণ প্রতিবাদী হয়ে ওঠে।

বিশ্বের বহু অঞ্চলে জাতিগত এবং ধর্মীয় বিভাজন রয়েছে, যা সহজেই সহিংসতায় পরিণত হয়। গাজা, প্যালেস্টাইন, এবং নেবানল অঞ্চলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের মূল কারণ ধর্মীয় ও জাতিগত বিরোধ। একইভাবে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে জাতিগত পরিচয় এবং ঐতিহাসিক বিভাজন প্রভাবিত করছে পরিস্থিতি।

বিশ্বের অনেক অঞ্চলে পানি, তেল এবং প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে সংঘর্ষ হচ্ছে। বিশেষ করে ইউক্রেনের যুদ্ধের ক্ষেত্রে, ভূমির মালিকানা এবং রিসোর্স নিয়ন্ত্রণ একটি বড় ভূমিকা পালন করছে। অধিকাংশ যুদ্ধের মূল কারণ সম্পদ অধিকার এবং তার নিয়ন্ত্রণ।

জাতিসংঘ বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার রক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও, তার কার্যক্রম প্রতিটি সংঘাতের ক্ষেত্রে ততটা সফল হয়নি। জাতিসংঘের শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা মাঝে মাঝে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা বিষয়ক বাধার মুখে পড়ে। তবে, জাতিসংঘের কাছে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে যুদ্ধের কারণ প্রতিকার করতে হবে।

জাতিসংঘের উচিত, যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। দুর্বল রাজনৈতিক কাঠামো এবং সরকারগুলোকে সহায়তা প্রদান করা যাতে তারা জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ হয় এবং জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যদি সক্রিয়ভাবে এ ধরনের সরকারকে নীতি পরিবর্তন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে পারে, তবে যুদ্ধের শিকার অঞ্চলে শান্তি আনা সম্ভব।

যুদ্ধের কারণে আক্রান্ত অঞ্চলের জনগণ অনেক ক্ষেত্রেই খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা, আশ্রয় এবং পানি সঙ্কটের মুখোমুখি হয়। জাতিসংঘের উচিত মানবিক সহায়তা ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী করা এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলগুলোর পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রদান করা। মানবিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নিরাপদ জীবনযাপন ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার। উদাহরণস্বরূপ, জাতিসংঘের মানবিক সংস্থাগুলো গাজার জনগণের জন্য খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহে অবদান রেখেছে, তবে আরও ব্যাপক কার্যক্রমের প্রয়োজন।

জাতিসংঘের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে সংঘর্ষ ও যুদ্ধের কারণগুলো নির্ধারণ করা এবং আগাম প্রতিরোধ ব্যবস্থা গঠন করা। শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতিসংঘকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী এবং সংলাপ প্রক্রিয়া সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করতে হবে। যুদ্ধের উত্সগুলো সমাধানের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বৃদ্ধি করতে হবে এবং প্রভাবশালী দেশগুলোর মাধ্যমে প্রস্তাবিত শান্তি আলোচনার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে হবে। যদি জাতিসংঘ সক্রিয়ভাবে যুদ্ধের সম্ভাবনা নষ্ট করতে পারে, তবে এমন পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেতে সময় পাওয়া যাবে।

জাতিসংঘ অনেক ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা সমস্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর ভেটো ক্ষমতা জাতিসংঘের কার্যক্রমের ওপর প্রভাব ফেলে। রাশিয়া ও চীনের মতো দেশগুলো যখন তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে কিছু করতে নিষেধ করে, তখন জাতিসংঘের ক্ষমতা সীমিত হয়ে পড়ে। উদাহরণস্বরূপ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময়ে জাতিসংঘের শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাপক বাধার মুখে পড়ে, কারণ রাশিয়া নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এবং তার ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করেছে। এর ফলে জাতিসংঘের শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

এছাড়া, যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে কার্যকর শাসন ও সহায়তা প্রক্রিয়া কঠিন হয়ে পড়ছে, যেখানে যুদ্ধের শিকার মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং সঠিক মানবিক সহায়তা প্রদান একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ।

বিশ্ব যুদ্ধ অনাথ শিশু দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, পৃথিবীজুড়ে চলমান যুদ্ধ শুধু রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য নয়, বরং শিশুর ভবিষ্যতের জন্যও বিপজ্জনক। জাতিসংঘ, ইউনিসেফ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো যুদ্ধের শিকার শিশুদের সাহায্য করতে যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তা অবশ্যই প্রশংসনীয়, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। একটি শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গড়তে শুধু যুদ্ধ না করার মাধ্যমে নয়, বরং যুদ্ধের শিকার শিশুদের জন্য টেকসই ও মানবিক সাহায্য নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ব নেতাদের সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ এবং শিশুদের জন্য সুখী পৃথিবী তৈরি করতে সক্ষম হতে পারি।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট