মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মাংস আমদানির সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী। তিনি জানান, ‘বহু বিদেশি সংস্থা আমাদের কম দামে মাংস আমদানির প্রস্তাব দেয়। এসব প্রস্তাবের কারণে সরকার অনেক সময় চাপে পড়ে যায়। তবে দেশেই মাংস উৎপাদন বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।’
রোববার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার সাভারে অবস্থিত বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) ‘বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা-২০২৪’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক সভাপতিত্ব করেন। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ. টি. এম মোস্তফা কামাল এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক।
ফরিদা আখতার বলেন, কেবল কোরবানি কেন্দ্রিক মাংসের বাজার বিবেচনা না করে সারা বছরের মাংসের চাহিদা নির্ধারণ করে পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। তিনি মাংসের দাম বাড়ার কারণ অনুসন্ধানে বিএলআরআইকে নির্দেশনা দেন। দেশীয় জাতসমূহের উন্নয়ন এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির উপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বিএলআরআই-কে দেশীয় প্রজাতিসমূহের একটি ‘জিন ব্যাংক’ তৈরির নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, বিদেশি জাতসমূহের অভিযোজনের পাশাপাশি দেশীয় প্রজাতি সংরক্ষণেও ভূমিকা রাখতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ প্রজাতি সংরক্ষণে প্রয়োজনে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করার তাগিদ দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দেশের কোন এলাকায় কোন প্রজাতির প্রাণিসম্পদ বেশি পাওয়া যায়, সে সংক্রান্ত একটি ম্যাপ প্রণয়ন করতে বিএলআরআইকে উদ্যোগী হতে হবে। এই ম্যাপ প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানান, মাংস আমদানির সিদ্ধান্ত দেশের প্রাণিসম্পদ খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তাই মাংস উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের চাহিদা পূরণের উপর জোর দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা দেশীয় প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন, গবেষণা ও পরিচালনার বিভিন্ন দিক নিয়ে মতবিনিময় করেন।