গাজীপুরের টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষের ঘটনায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী মোয়াজ বিন নূরকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিব ইস্কান্দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এটি একটি বড় ধরনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত মামলা, যেখানে মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন এবং এর ফলে একজন নিহত হন। শুক্রবার সকালে পুলিশ গ্রেপ্তার করে মোয়াজ বিন নূরকে, যিনি সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন।
মঙ্গলবার রাতে মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী এস এম আলম হোসেন বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ২৯ জন আসামির নাম উল্লেখ করা হয় এবং একাধিক অজ্ঞাতপরিচয় আসামির নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার সংখ্যা কয়েকশ’ হতে পারে। এই মামলায় মোয়াজ বিন নূর ছিলেন ৫ নম্বর আসামি।
মোয়াজ বিন নূর (৪০) উত্তরার ৭নং সেক্টরের বাসিন্দা। তার বাবা মৃত নুর মোহাম্মদ। পুলিশ জানান, মামলার দায়েরের পরপরই মোয়াজ বিন নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে রাজধানী ঢাকার উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে এবং অপর আসামিদের খুঁজে বের করার জন্য আরও অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ধরনের সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডে শহরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে ধর্মীয় সংগঠনগুলির মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার ফলে।
এখন পর্যন্ত পুলিশের প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গেছে, সংঘর্ষটি ধর্মীয় কারণে সংঘটিত হয়েছিল, যা গত কয়েকদিন ধরে চলছিল। তবে তদন্তকারীরা আরও বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করছেন এবং ঘটনা সম্পর্কিত সব পক্ষের বক্তব্য শোনা হচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে, যাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত না হয়ে যায়। পাশাপাশি, মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত করতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।
এদিকে, সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলির মধ্যে শান্তিপূর্ণ সমাধান ও ধর্মীয় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আরও উদ্যোগ নিচ্ছে।