1. [email protected] : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. [email protected] : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. [email protected] : RT BD NEWS :
সরকারি চাকরি আইন নিয়ে নতুন বিতর্ক: দুর্নীতি রোধ নাকি উৎসাহ? - RT BD NEWS
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ১১:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে ভারতের গভীর উদ্বেগ আদমপুর ঘাঁটিতে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদির পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি মহেশপুর সীমান্তে নারী শিশুসহ আটক ৫৯ জামালপুরের ইসলামপুরে মাদ্রাসা ছাত্রী ভর্তি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২০ বাংলাদেশ-নেপাল মধ্যে সমন্বিত অর্থনৈতিক কৌশল গ্রহণের আহ্বান জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্ত, গঠিত হলো রাজস্ব নীতি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি নিয়ে সামরিক পর্যায়ে আলোচনা ঝিনাইদহে সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করলো নির্বাচন কমিশন: ইসি সচিব ঝিনাইদহে রেললাইন স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি

সরকারি চাকরি আইন নিয়ে নতুন বিতর্ক: দুর্নীতি রোধ নাকি উৎসাহ?

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪
সরকারি-চাকুরি

সরকারি চাকরি আইন ২০১৮, যা ১০ বছরের আলোচনার পর বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রণয়ন করা হয়েছিল, বর্তমানে নতুন করে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। আইনটি প্রণয়নের সময় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও গণমাধ্যমের সমালোচনা উপেক্ষা করা হয়েছিল।

আইনটি প্রণয়নের উদ্দেশ্য ছিল সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলায় আনা এবং দুর্নীতি রোধ করা। তবে আইনের কিছু ধারা বিশেষজ্ঞদের মতে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করছে। ৪১ এবং ৪২ ধারা নিয়ে বিশেষভাবে বিতর্ক রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো কর্মচারীকে এক বছরের কম শাস্তি দেওয়া হলে কিংবা অর্থদণ্ড আরোপ হলেও তার চাকরি থাকবে বহাল।

বিতর্কিত ধারা:১. ৪১ ধারা:
ধারাটি অনুযায়ী, কোনো কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার পূর্বে তাকে গ্রেফতারের জন্য সরকারের অনুমতি নিতে হবে।

জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া বলেন, দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগ খুব কমই আসে। তবে কর্মরত অবস্থায় ঘুস গ্রহণ বা সাধারণ মানুষের সঙ্গে অসদাচরণের ক্ষেত্রে এই ধারা দুর্নীতিকে উসকে দিতে পারে। এমনকি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানে কোনো কর্মচারী ঘুসসহ ধরা পড়লেও গ্রেফতারের আগে অনুমতির প্রয়োজন হবে।

২. ৪২ ধারা:
এই ধারায় বলা হয়েছে, কোনো কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় মৃত্যুদণ্ড বা এক বছরের অধিক কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হলে চাকরি থেকে তাৎক্ষণিক বরখাস্ত করা হবে। তবে এক বছরের কম শাস্তি বা অর্থদণ্ড হলেও চাকরি বহাল থাকবে।

এক বছরের কম শাস্তি পেলে কর্মচারী চাকরিতে বহাল থাকবেন। অর্থদণ্ড হাজার কোটি টাকা হলেও চাকরি হারানোর শঙ্কা নেই। তিরস্কার বা পদোন্নতি স্থগিত করা হলেও চাকরি থেকে সরানোর বিধান নেই,  একজন ঘুসখোর কর্মকর্তা বা কর্মচারী এক বছর জেল খেটে এসে আবার দায়িত্ব পালন করবেন, যা নৈতিকতার পরিপন্থি। একইভাবে, শ্লীলতাহানির অপরাধে ৬ মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকও চাকরিতে বহাল থাকতে পারেন।

আইনের কিছু ধারা কর্মচারীদের দুর্নীতিকে উৎসাহিত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উদাহরণস্বরূপ, হাজার কোটি টাকা অর্থদণ্ডের পরও চাকরি বহাল রাখা যাবে। একজন সরকারি কর্মচারী দুর্নীতির দায়ে শাস্তি পেলেও চাকরিতে বহাল থাকা আইনের শাসনের পরিপন্থি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই আইন সংশোধন করা না হলে দুর্নীতির মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে। এটি প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও দক্ষতার জন্য বড় বাধা।

ফিরোজ মিয়ার বক্তব্য অনুযায়ী, ১৯৮৫ সালের ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা’-তে বলা হয়েছিল, মৃত্যুদণ্ড, এক বছরের অধিক কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকার বেশি জরিমানা হলে কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা যাবে। তবে নতুন আইনে এই বিধান তুলে দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে বিশেষজ্ঞরা সরকারকে আইনের দুর্বল দিকগুলো সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছেন।

সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ দুর্নীতি রোধের বদলে তা উৎসাহিত করার অভিযোগে বিতর্কিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আইনের দুর্বলতাগুলো দ্রুত সংশোধন করা প্রয়োজন, নইলে এর উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট