জম্মু ও কাশ্মিরের পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির মেয়ে ইলতিজা মুফতি সম্প্রতি হিন্দুত্ব নিয়ে মন্তব্য করে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন। তিনি হিন্দুত্বকে সহিংসতার দর্শন এবং একটি “অসুখ” বলে উল্লেখ করেছেন।
মধ্যপ্রদেশের একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে দেখা যায়, তিন কিশোরকে “আল্লাহ” বলার অপরাধে নৃশংসভাবে মারধর করা হয় এবং জোরপূর্বক “জয় শ্রীরাম” বলতে বাধ্য করা হয়। এই ভিডিও শেয়ার করে ইলতিজা মুফতি উগ্র হিন্দুত্বের তীব্র সমালোচনা করেন।
ইলতিজা মুফতি হিন্দুত্ব এবং হিন্দু ধর্মের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরে বলেন, “হিন্দুত্ব এবং হিন্দু ধর্ম এক নয়। হিন্দুত্ব ঘৃণার দর্শন ছড়িয়েছে, যা ১৯৪০-এর দশকে বীর সাভারকর শুরু করেছিলেন। এর উদ্দেশ্য ছিল হিন্দুদের আধিপত্য বিস্তার করা। হিন্দু ধর্ম একটি ধর্মনিরপেক্ষ, প্রেম এবং করুণার শিক্ষা দেয়, যা বিকৃত করা উচিত নয়।”
তিনি আরও বলেন, “জয় শ্রীরাম শ্লোগান রাম রাজ্যের জন্য নয়, এটি সহিংসতা ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি হিন্দু ধর্মকে বিকৃত করছে, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক। আমি হিন্দুত্বকে একটি অসুখ বলে উল্লেখ করছি।”
ইলতিজা মুসলিম উগ্রবাদের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “একজন মুসলিম হিসেবে আমি বুঝি, কিভাবে উগ্রবাদীরা ‘আল্লাহু আকবর’ শ্লোগান ব্যবহার করে সহিংসতা চালায় এবং ইসলামের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। হিন্দুরাও এখন সেই একই পথে হাঁটছে।”
ইলতিজার বক্তব্যের পর জম্মু ও কাশ্মীর বিজেপি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। জম্মুর বিজেপি নেতা রবিন্দর রেনা বলেন, “ইলতিজার বক্তব্য হিন্দুত্বের প্রতি অত্যন্ত অপমানজনক। মতভেদ থাকতে পারে, কিন্তু এভাবে অপমানজনক ভাষা ব্যবহার কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। তার এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত।”
ইলতিজার এই মন্তব্য হিন্দুত্ব ও ধর্মীয় উগ্রবাদ নিয়ে একটি নতুন আলোচনা তৈরি করেছে। সমর্থকরা এটি একটি সাহসী বক্তব্য হিসেবে প্রশংসা করলেও সমালোচকরা এটিকে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন।