ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসার জন্য দুই মাস আগে বরিশাল থেকে ঢাকায় আসে ১১ বছরের কিশোরী আরাবি ইসলাম সুবা। তবে গত রোববার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় সে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুবার ফুফাতো ভাইয়ের সঙ্গে বাসা থেকে বের হয় সে। মোহাম্মদপুরের টোকিও স্কয়ারের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, সুবা ও তার ভাইয়ের সঙ্গে আরও একটি ছেলে ছিল। ফুটেজে দেখা গেছে, সুবা ছেলেটির হাত ধরে ছিল এবং তার আরেক হাতে একটি শপিং ব্যাগ ছিল। তারা কথা বলতে বলতে শপিং মলে প্রবেশ করে এবং পরবর্তীতে বের হয়ে যেতে দেখা যায়।
আরেকটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, টোকিও স্কয়ারের সামনে সুবা, তার ফুফাতো ভাই ও সেই ছেলেটিকে হেঁটে যেতে দেখা যায়। পরবর্তীতে সুবার ভাই নিশ্চিত করে যে এটি তার বোন এবং তার সঙ্গী ছিল।
নিখোঁজের ঘটনায় সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সুবার বাবা ইমরান রাজিব মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তিনি জানান, স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য দুই মাস ধরে ঢাকায় তার বোনের বাসায় অবস্থান করছেন। এদিকে, চারদিন আগে সুবা ও তার মা মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট এলাকার এক আত্মীয়ের বাসায় ওঠেন। রোববার সন্ধ্যায় ফুফাতো ভাইয়ের সঙ্গে বের হলেও আর ফিরে আসেনি সুবা।
নিখোঁজের পরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে। মোহাম্মদপুর থানার এডিসি জুয়েল রানা জানান, তদন্তে উঠে এসেছে, সুবাকে এক ছেলের সঙ্গে দেখা গেছে, যার নাম মোমিন হোসেন। সে নওগাঁর বাসিন্দা। পরে জানা যায়, সুবা প্রেমঘটিত কারণে নওগাঁ চলে গেছে।
সুবাকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ কাজ করছে। নওগাঁয় যাওয়ার পর পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে সেখান থেকেও পালিয়ে যায়। পুলিশ মোমিনের বাবা-চাচার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং তাদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে, যাতে তারা পালিয়ে যেতে না পারে।
এখনও পর্যন্ত সুবাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে এবং দ্রুত উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।