1. [email protected] : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. [email protected] : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. [email protected] : RT BD NEWS :
ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণায় বিশ্ববাজারে শেয়ারবাজার, মুদ্রাবাজার ও জ্বালানি খাতে তীব্র ধস - RT BD NEWS
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ১০:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বেইলি রোডে বহুতল ভবনে আগুন, ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার জামালপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড শীতলক্ষ্যা নদীর খেয়াঘাটে চরম ভোগান্তি, অভিযোগের পাহাড় যাত্রীদের ঈদুল আজহা ২০২৫: ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ২১ মে ইরানের নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘কাসেম বাসির’ উন্মোচন খালেদা জিয়ার দেশে প্রত্যাবর্তনে ডিএমপির বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ১০টি ডাকাতি ঘটনায় ভয়াবহ পরিস্থিতি গণতান্ত্রিক সংস্কার ও আত্মনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার সময় এখনই কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার অপতথ্য ও গুজব সামাজিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করে: মাহফুজ আলম

ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণায় বিশ্ববাজারে শেয়ারবাজার, মুদ্রাবাজার ও জ্বালানি খাতে তীব্র ধস

আরটি বিডিনিউজ অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৫
রেমিট্যান্স

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২ এপ্রিল থেকে বৈশ্বিক বাণিজ্য অংশীদারদের বিরুদ্ধে ব্যাপক শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই বিশ্ব অর্থনীতি এক ধরনের অস্থিরতায় পড়ে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ ‘পারস্পরিক কর’ নীতির অংশ হিসেবে কার্যকর হয়। এর ফলে শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, পুরো বিশ্বের শেয়ারবাজার, মুদ্রাবাজার, পণ্যবাজার এবং বিনিয়োগ পরিস্থিতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়ে।

এই ঘোষণার প্রভাব সবচেয়ে আগে অনুভূত হয় এশিয়ার শেয়ারবাজারে। ট্রাম্পের ঘোষণার আগের দিন যেখানে এশিয়ার বাজারগুলো ছিল চাঙ্গা, সেখানে ঘোষণা কার্যকর হওয়ার পরদিন অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার শেয়ার সূচক খোলার পরপরই পতনের দিকে ছুটে যায়। টোকিওর নিক্কেই সূচক প্রথমে ৩.৯ শতাংশ পর্যন্ত পড়ে গেলেও পরে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়ে দিনের শেষে ২.৯ শতাংশ হারে কমে। হংকং ও সাংহাইয়ের সূচকে পতন হয়েছে যথাক্রমে ১.৫ ও ১.৪ শতাংশ। চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, ভিয়েতনামের মতো দেশগুলোও শেয়ারবাজারে বড় ধাক্কা খেয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি-ভিত্তিক সূচক নাসডাক ফিউচার্সে ৩.৩ শতাংশ পতন হয়েছে। বড় বড় টেক কোম্পানিগুলোর শেয়ারে ব্যাপক দরপতন দেখা গেছে। টেসলার শেয়ারের দাম কমেছে ৮ শতাংশেরও বেশি, এনভিডিয়ার শেয়ার কমেছে ৫.৬ শতাংশ এবং নাইকির শেয়ার কমেছে ৭.৩ শতাংশ। অ্যাপলের শেয়ারে সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ পতন হয়েছে, কারণ প্রতিষ্ঠানটি তাদের পণ্যের সিংহভাগ চীনে উৎপাদন করে থাকে এবং বাণিজ্যিক বাধা তাদের সরাসরি প্রভাবিত করে। প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ ৭টি কোম্পানির সম্মিলিত বাজারমূল্য কমে গেছে প্রায় ৭৬০ বিলিয়ন ডলার, যা মার্কিন অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের ধাক্কা।

শুধু শেয়ারবাজার নয়, মুদ্রাবাজারেও দেখা গেছে অস্থিরতা। মার্কিন ডলার গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে। ডলারের দাম অন্যান্য প্রধান মুদ্রার বিপরীতে প্রায় ২ শতাংশ কমে গেছে। জার্মানির ডাক্স সূচক ২.৩ শতাংশ, ফ্রান্সের সিএসি সূচক ২.৫ শতাংশ এবং লন্ডনের এফটিএসই ১০০ সূচক ১.৫ শতাংশ হারে কমে গেছে। ডয়চে ব্যাংক তাদের ক্লায়েন্টদের ‘ডলারের আস্থা সংকট’ থেকে সতর্ক থাকতে বলেছে। বিনিয়োগকারীরা এখন ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সুদের হার কমানোর বিষয়ে আশা রাখছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এপ্রিলের শেষদিকে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ৯২ শতাংশ এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ড মে মাসের শুরুতে সুদের হার কমাতে পারে এমন সম্ভাবনা ৭৭ শতাংশ।

এদিকে, জ্বালানি ও পণ্য বাজারেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গেছে। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কায় অপরিশোধিত তেলের দাম কমে গেছে। ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ব্যারেল প্রতি ৫.৮ শতাংশ কমে ৭০.৬১ ডলারে নেমে এসেছে। জ্বালানির চাহিদা হ্রাসের আশঙ্কা এর মূল কারণ। অপরদিকে, বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ সম্পদ হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকছেন। রাতারাতি সোনার দাম বেড়ে ৩১৬৭.৫০ ডলার ছুঁয়েছে, যা রেকর্ড উচ্চতা।

বিশ্ববাণিজ্যে উত্তেজনার এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বন্ধু’ দেশ জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। জাপানি পণ্যে ২৪ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যে ২৫ শতাংশ হারে এই শুল্ক আরোপ করা হয়, যার ফলে তাদের অর্থনীতিও চাপের মুখে পড়ে এবং সংশ্লিষ্ট দেশের শেয়ারবাজারেও তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়ে।

অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা এই অবস্থাকে গুরুতর বলে মনে করছেন। জানুস হেন্ডারসন ইনভেস্টরসের পোর্টফোলিও ম্যানেজার অ্যাডাম হেটস বলেন, ‘দেশভেদে শুল্ক আরোপ আসলে আলোচনার পথ খোলা রাখার একটি কৌশল হতে পারে। তবে প্রশ্ন হলো, প্রশাসন আসলে কতটা অর্থনৈতিক যন্ত্রণা সহ্য করতে প্রস্তুত।’ তিনি আরো বলেন, বাজারে দীর্ঘমেয়াদী অস্থিরতা দেখা দিতে পারে এবং প্রশাসন যদি আলোচনায় না বসে, তাহলে পরিণতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট