পিরোজপুর শহরের প্রাণ ভাড়ানি খাল পুনরুদ্ধারে পুনঃখনন ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার (২ মে) সকাল থেকে এই কার্যক্রমের সূচনা হয় ম্যালেরিয়া পুল এলাকা থেকে।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সহায়তায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান।
পিরোজপুর পৌর শহরের দামোদর খালের উৎস মুখ থেকে শুরু করে বড়পোল পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ২২ ফুট প্রস্থের এই খালটি দুই পাশ থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে অর্ধ শতাধিক স্থাপনা। অপরিকল্পিতভাবে খালের ওপর নির্মিত হয়েছে ছোট ব্রিজ ও কালভার্ট, খালের মধ্যে বসানো হয়েছে অগণিত পানির পাইপলাইন, নিয়মিত ময়লা-আবর্জনা ফেলা ও পলিথিন জমায় খালটি ভরাট হয়ে গেছে, এর ফলে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা ও পরিবেশ দূষণ।
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া অভিযানে খালের দুই পাশের একাধিক পাকা ও অস্থায়ী অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
পিরোজপুর সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম আল-আমিন জানান, “খাল পরিমাপের ভিত্তিতে যেসব স্থাপনা অবৈধভাবে নির্মিত হয়েছে, সেগুলো মাইকিং করে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। কেউ সরিয়ে না নিলে প্রশাসন নিজ উদ্যোগে উচ্ছেদ করবে।”
স্থানীয়রা জানান, এক সময় এই খালে নৌকা চলাচল করত, লোকজন গোসল করত, মালামাল পরিবহন হতো। বর্তমানে তা একটি আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে।
তারা আশা প্রকাশ করেছেন, খালটি সঠিকভাবে পুনঃখনন ও পরিষ্কার করা হলে এর আগের রূপ ফিরে আসবে, এবং শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, “সরকারি কোনো বরাদ্দ ছাড়াই স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ছাত্র নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় খালটি উদ্ধার ও পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে সম্পূর্ণ খননের পরিকল্পনা রয়েছে।”