1. [email protected] : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. [email protected] : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. [email protected] : RT BD NEWS :
ভান্ডারিয়ায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা, পলাতক স্বামী - RT BD NEWS
রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৭:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঝিনাইদহের দিঘিরপাড়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক পরিবার ঘরছাড়া আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি ঝিনাইদহে লিচু গাছে উঠে পড়ে দিনমজুরের মর্মান্তিক মৃত্যু পিরোজপুরে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত বজ্রপাতে মৃত দুই কৃষক পরিবারকে তারেক রহমানের মানবিক সহায়তা পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা শাহবাগে খালেদা জিয়া এলে পৃথিবীর সবচেয়ে স্বর্গীয় দৃশ্য হতো’—পিনাকী হামলার আশঙ্কায় ভারতজুড়ে নিরাপত্তা ২৪ বিমানবন্দর ও বন্দর স্থগিত ভারত-পাকিস্তান ড্রোন যুদ্ধ: দক্ষিণ এশিয়ায় বিপজ্জনক অধ্যায়ের সূচনা যমুনার সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বড় জমায়েত

ভান্ডারিয়ায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা, পলাতক স্বামী

মোঃ নাজমুল হোসেন পিরোজপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৭ মে, ২০২৫
ভান্ডারিয়ায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা, পলাতক স্বামী
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামে স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যা করে,হত্যাকান্ডের পর ঘাতক ওবায়দুল হক বাদল খান (৪৫) পলাতক রয়েছেন।
সোমবার (৫ মে) রাত ১১ টার দিকে উপজেলার ধাওয়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন,উপজেলার ধাওয়া গ্রামের নূর মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী ফরিদা বেগম (৬৫) ও তার মেয়ে চম্পা বেগম ৩৫। অভিযুক্ত ঘাতক ওবায়দুল হক বাদল একই এলাকার মৃত : আজিজ খানের ছেলে। ধাওয়া বাজারে বাদলের একটি চায়ের দোকান রয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,বাদল খানের সাথে চাচাতো বোন চম্পা বেগমের ১৬ এপ্রিল মাএ তিন সপ্তাহ আগে বিয়ে হয়,বিয়ের পর থেকে চম্পাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো বাদল। ঘাতক বাদল এর আগে আরও তিনটি বিয়ে করেছেন,চম্পা বেগম তার চতুর্থ স্ত্রী। বাদলের নির্যাতনে আগের তিনজন স্ত্রী বাদলকে ছেড়ে চলে যায়। স্ত্রী চম্পা,শাশুড়ি ফরিদা ও দ্বিতীয় স্ত্রীর শিশু পুত্র ইয়াসিনকে নিয়ে বাদল একটি বাড়িতে বসবাস করে।
নিহত ফরিদা বেগমের বড় মেয়ে খাদিজা বেগম জানান, চাচাতো ভাই বাদলের সাথে তার বোন চম্পার বিয়ে হয়,বিয়ের পর থেকে শুরু হয় দাম্পত্য কলহ ও শারীরিক নির্যাতন। সোমবার রাতে মা মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় ঘরে থাকা বাদলের দ্বিতীয় স্ত্রীর শিশু সন্তান ইয়াসিন ঘর থেকে পালিয়ে পাশের বাড়ির লোকজনকে জানালে তারা এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে।
চম্পার মামাতো বোন ও প্রতিবেশী নাসিমা বেগম জানান,বাদলের অবুজ ছেলে ইয়াসিন ঘর থেকে পালিয়ে এসে ঘটনাটি আমাদের জানালে আমরা ঘরের মধ্যে ০২জনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই,এ সময় তাদের শরীরে আগুন জ্বলছিল,টয়লেটের পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলি কিন্তু কি কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারিনা,নিহতদের পাশ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা ও কুঠাল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ডিবি,সিআইডি সহ পুলিশের একাধিক টিম রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে। ঘটনার পর থেকে বাদলের শিশু সন্তান  ইয়াসিনকে পাওয়া যাচ্ছে না,তাকে পাওয়া গেলে রহস্য উদঘাটন অনেকটা সহজ হতো বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
ভান্ডারিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমদ আনওয়ার বলেন,পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে,তবে অভিযুক্ত ঘাতক  বাদলকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি, তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পিরোজপুর পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের জানান, ভান্ডারিয়ায় মা মেয়ে হত্যাকান্ডের ব্যাপারে প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। আসামিকে আমরা সনাক্ত করতে পেরেছি,তাকে আটক করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট