ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যে ভারতের উত্তরাঞ্চলজুড়ে যুদ্ধ প্রস্তুতির চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠছে। পাকিস্তানের সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় ভারতের বিমান বাহিনী অল্টিমেট সতর্কতা জারি করেছে এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও বন্দর ব্যবস্থায় কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে।
আম্বালা শহরে বৃহস্পতিবার সকাল ১০:৩০ টায় হঠাৎ সাইরেন বাজানো শুরু হয়। স্থানীয় প্রশাসন শহরজুড়ে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয় এবং বারান্দা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, “বিমান বাহিনী স্টেশন থেকে একটি সম্ভাব্য আক্রমণের সতর্কতা পাওয়া গেছে। সকলকে ঘরের মধ্যে অবস্থান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট ঘোষণা করা হয়েছে।
আল জাজিরা ও রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে জানা গেছে, ভারতের সকল বন্দর, শিপইয়ার্ড ও শিপিং টার্মিনালগুলোতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। “সাম্প্রতিক নিরাপত্তা হুমকি ও হামলার শঙ্কার প্রেক্ষিতে জাতীয় সামুদ্রিক নিরাপত্তার স্বার্থে অতিরিক্ত সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।”
ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (DGCA) এই সতর্কতাকে ‘সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’ হিসেবে উল্লেখ করেছে এবং কঠোরভাবে নির্দেশ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।
যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে, ভারত উত্তরাঞ্চলের ২৪টি বিমানবন্দরে বেসামরিক বিমান চলাচল স্থগিত করেছে। এসব এলাকা সীমান্তের নিকটে হওয়ায় সম্ভাব্য হামলার ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই প্রস্তুতি এমন এক সময় যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধ শুরু হয়েছে। দু’দেশের পারমাণবিক শক্তি থাকা অবস্থায়, এই সংঘর্ষ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য চরম উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।