বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যের মধ্যে সমন্বিত অর্থনৈতিক কৌশল গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “আলাদাভাবে নয়, একসঙ্গে কাজ করলেই আমরা আরও বেশি লাভবান হতে পারি।”
সোমবার (১২ মে) ঢাকায় নেপাল দূতাবাস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের ফেডারেল পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ আঞ্চলিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও যৌথ সমৃদ্ধিতে বিশ্বাস করে। তিনি জানান, রংপুরে নির্মাণাধীন ১,০০০ শয্যার হাসপাতাল নেপাল ও ভুটানের নাগরিকদের জন্যও উন্মুক্ত থাকবে।
সাক্ষাতে দুই দেশের মধ্যে জলবিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার বিষয়টি গুরুত্ব পায়। আলোচনা হয় বাংলাদেশ-নেপাল-ভারত এর মধ্যে হওয়া ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির ত্রিপক্ষীয় চুক্তি নিয়ে। উভয়পক্ষ আরও বড় পরিসরে উদ্যোগ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে।
ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানা বলেন, “বাংলাদেশে প্রায় ২,৭০০ নেপালি শিক্ষার্থী বিশেষ করে মেডিকেল কলেজে অধ্যয়ন করছে।” তিনি আরও শিক্ষা বিনিময় ও একাডেমিক সহযোগিতার আহ্বান জানান।
সাক্ষাতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ইসরাত জাহান।
বাংলাদেশ-নেপাল আঞ্চলিক সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচনে এগিয়ে যাচ্ছে। একযোগে অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, জলবিদ্যুৎ ও শিক্ষাখাতে অংশীদারিত্ব গড়তে এই উদ্যোগ হবে উপমহাদেশীয় উন্নয়নের নতুন মাইলফলক।