1. hmonir19799@gmail.com : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. rtbdnews@gmail.com : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. info@www.rtbdnews.com : RT BD NEWS :
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শ্রীলঙ্কাকে ৭৮ রানে হারালো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ কুতুবদিয়ায় প্রধান শিক্ষকের মামলায় আটকে আছে ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষকের পদোন্নতি হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী অরবান দাবি: ইউরোপ ২০৩০ সালের মধ্যে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ঝিনাইদহে উদযাপিত বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস: স্বাস্থ্যকর মাটির গুরুত্বে আলোচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা ২০২৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যাহত থাকবে – ব্রিটিশ হাইকমিশনার ঝিনাইদহে ছোট ভাইয়ের বটির আঘাতে বড় ভাই নিহত দিঘলিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর ভোটার সমাবেশে মাওলানা কবিরুল ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য জামালপুরে বাস চাপায় অটোরিক্সার এক যাত্রী নিহত, আহত ৫ ২০২৭ সালের মধ্যে ন্যাটোর প্রতিরক্ষা দায়িত্ব ইউরোপের নিতে হবে—যুক্তরাষ্ট্রের চাপ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: তফসিল ঘোষণার তারিখ এখনো চূড়ান্ত নয়—ইসি

দক্ষিণ আমেরিকার আমাজনের কোকো গাছ টাঙ্গাইলে আবাদ হচ্ছে

ধ্রব রহমান
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫
টাঙ্গাইলের তাপস বর্ধন কোকো চাষে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় সফলভাবে ফল ধরছে কোকো গাছ। জানুন তার অনুপ্রেরণামূলক গল্প ও সম্ভাবনার কথা।

দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া কোকো গাছ, যেটিকে অনেকেই ‘ঈশ্বরপ্রদত্ত ফল’ বলে থাকেন, এখন বাংলাদেশের মাটিতেও ফল দিচ্ছে। আর এই ব্যতিক্রমী সাফল্যের পেছনে রয়েছেন টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার হাজরাবাড়ী গ্রামের এক বৃক্ষপ্রেমিক—তাপস বর্ধন।

২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল থেকে সংগ্রহ করা একটি কোকো ফলের বীজ দিয়েই তাপস বর্ধনের কোকো চাষের যাত্রা শুরু। পেশায় চারুকলার ছাত্র হলেও প্রকৃতির প্রতি তার ভালোবাসা তাকে এই অনন্য উদ্যোগে যুক্ত করে।

চার বছর আগে তিনি নিজ বাগানে ১৭টি কোকো গাছ রোপণ করেন। এর মধ্যে একটি গাছে এবার ফল এসেছে ১২০টি। সেগুলো থেকে ঘরোয়াভাবে তিনি দুই কেজি কোকো পাউডার তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।

তাপস বর্ধনের মতে, কোকো গাছ সাধারণত খরা ও অতিবৃষ্টির মতো প্রতিকূলতা সহ্য করতে পারে। তবে জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না।
তিনি বলেন, “এই গাছে রোগবালাই বা পোকামাকড়ের আক্রমণ খুবই কম। তেমন যত্ন না নিয়েও ফল পাওয়া যায়।”
সারা বছর গাছে ফুল এলেও নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত ফুলের প্রাচুর্য বেশি থাকে, ফলে বছরজুড়েই ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

বাংলাদেশে কোকো গাছের পরীক্ষামূলক রোপণ শুরু হয় ২০১৪ সালে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে। সাভারে ভিয়েতনাম থেকে আনা চারায় শুরু হয় এ পরীক্ষামূলক চাষ। তবে বাণিজ্যিক চাষ এখনো সীমিত পর্যায়েই রয়েছে।

কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম বলেন, “বর্তমানে দেশে চাহিদার সব কোকো আমদানিনির্ভর। কোকো চাষ লাভজনক হতে পারে যদি সঠিকভাবে পরিচর্যা করা হয়।”

তাপস বর্ধন ইতোমধ্যে নিজেই একটি নার্সারি তৈরি করেছেন। আগামী জুলাইয়ে তিনি আরও দেড় শতাধিক কোকো গাছ রোপণের পরিকল্পনা করছেন। তার এই সাফল্য দেখে আশপাশের মানুষজনও আগ্রহী হয়ে উঠেছেন, এবং অনেকেই তার কাছ থেকে বীজ নিয়ে কোকো গাছ লাগাচ্ছেন।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট