পিরোজপুর সদর উপজেলার কলাখালী ইউনিয়নের নেপাল মজুমদার নামে এক হিন্দু স্বর্ণকারকে মারধর করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্রের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পিরোজপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ ইতোমধ্যে দুজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুর ১টার দিকে। ভুক্তভোগী নেপাল মজুমদারের দোকান থেকে তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর ও হুমকি প্রদান করে অভিযুক্তরা।
নেপাল মজুমদার জানান, অভিযুক্ত সাব্বির ও তার সহযোগীরা দোকানে এসে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে নেয়। পরে পিরোজপুর সদর থানার গজালিয়ার মান্নু খানের বাড়ির পাশে একটি বাগানে নিয়ে গিয়ে শাওন খান ও হানিফ শেখ তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। শাওন তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারেন এবং হানিফ মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন।
এরপর আসামিরা নেপালের বাড়িতে গিয়ে তার মেয়ে তমা মজুমদারের কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্প পেপারে স্বাক্ষর নেয় এবং তার স্ত্রী অর্পিতা মজুমদারের কাছ থেকে একটি ব্ল্যাংক চেক জোরপূর্বক নিয়ে নেয়।
চাঁদা না দিলে নেপাল ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয় আসামিরা। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পর নেপাল মজুমদার ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং খুলনায় গিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন।
শুক্রবার (২৭ জুন) এ ঘটনায় পিরোজপুর সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর: ১৬/২০২৫) দায়ের করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অপু দাস জানান, মামলার প্রধান আসামি হানিফ শেখ ও শাওন খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদক, ইয়াবা ও বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।