হাইকোর্ট জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ ও ওয়াসিমসহ অন্যান্য শহীদদের কেন জাতীয় বীর ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে। সোমবার (১৪ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
রুলে বলা হয়েছে, আন্দোলনে শহীদদের একটি প্রকৃত ও নির্ভরযোগ্য তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে নতুন বাংলাদেশের জাতীয় সংস্কারক ঘোষণা করা হবে না কেন, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এই রিটের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ইমদাদুল হক (হোয়াইট ম্যান) একটি রিট করেন, যেখানে ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানে নিহতদের জাতীয় শহীদ ঘোষণা এবং অধ্যাপক ইউনূসকে জাতীয় সংস্কারক হিসেবে ঘোষণার দাবি জানানো হয়।
আইনজীবী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের পর সাহসিকতার সঙ্গে দেশের হাল ধরেন অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেন, দেশকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে নতুন রাষ্ট্র গঠনের পথে সংস্কার চালাবেন। সেই লক্ষ্যে তিনি নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সংস্কার শুরু করেছেন। তার এই কাজকে কেন্দ্র করেই আমরা তাঁকে জাতীয় সংস্কারক হিসেবে ঘোষণার আবেদন করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “একটি মাত্র ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দল ছাড়া দেশের সবাই তাঁকে সমর্থন দিয়েছে। জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই তিনি সংস্কার কমিশন গঠন করে কার্যক্রম শুরু করেন। ফলে অভ্যুত্থানে নিহতদের জাতীয় শহীদ ও ইউনূসকে জাতীয় সংস্কারক ঘোষণা করার যৌক্তিকতা তৈরি হয়েছে।”
এই রিটে জনপ্রশাসন সচিব, প্রতিরক্ষা সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব ও অর্থ সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।