জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পরিচালক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক কালের কণ্ঠের যুগ্ম সম্পাদক সাঈদ খান বলেছেন, “তারেক রহমান সময় ও তারুণ্যের অহংকার। ধানের শীষে ভোট দিয়েই তাঁর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। আগামীতে তিনি দক্ষিণ এশিয়ার আইকনিক রাষ্ট্রনায়ক হবেন।”
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) পিরোজপুরের ইন্দুরকানী রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ইন্দুরকানী (জিয়ানগর) উপজেলা জিয়া পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন ধানের শীষে ভোটের মাধ্যমেই সম্ভব। সাঈদ খান অভিযোগ করেন, শুধুমাত্র নামের কারণে বিগত সরকার জিয়ানগরের কোনো উন্নয়ন করেনি। “এবার প্রমাণ করতে হবে, এই নামের কারণেই জিয়ানগর হবে সবচেয়ে বেশি পুরস্কৃত উপজেলা।”
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমি বিশেষ কোনো ব্যক্তি নই, আপনাদের ভাই, গ্রামের সন্তান। সাংবাদিকরা মানুষের দুঃখ-দুর্দশা তুলে ধরেন, অথচ অনেক সময় তারা যথাযথ সম্মান পান না।”
বিগত সরকারের দমন–নিপীড়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা কেউ নির্যাতন থেকে রক্ষা পাইনি। অনেক সময় বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি, পরিবার-পরিজন রেখে পালিয়ে থাকতে হয়েছে। এসব ভুলে গেলে চলবে না।”
মতবিনিময় সভায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সাঈদ খান বলেন, শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশনা মেনে দলীয় বিভেদ এড়িয়ে চলতে হবে। এসময় তিনি জানান, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন কৃষকদের জন্য কাজ করছে এবং নতুন উদ্ভাবিত ‘কমল বীজ’ কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।
সভায় বক্তারা বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত পিরোজপুর-১ আসনে আগামীতে জিয়া পরিবারের কাউকে প্রার্থী দিতে হবে। তারা জানান, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী জয়ী হলেও সংসদের পূর্ণতা না পাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে দীর্ঘদিনের মনোকষ্ট রয়ে গেছে।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. ফরিদ আহম্মেদ, ইন্দুরকানী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মো. শাহিদুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আজাদ হোসেন বাচ্চু, প্রেসক্লাব সভাপতি নাসির উদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আল-আমীন হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল রানা প্রমুখ।